বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭, ০৫:০২:১৩

সংবর্ধিত ইতিহাসের সাক্ষী ‘ওরা ১১ জন’

সংবর্ধিত ইতিহাসের সাক্ষী ‘ওরা ১১ জন’

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ‘ওরা ১১ জন’-এর শিল্পী-কলাকুশলীদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে সংবর্ধনা গ্রহণ করেন ছবিটির শিল্পী-কলাকুশলীরা।

‘ওরা ১১ জন’ ছবির শিল্পী-কলাকুশলীদের মধ্যে সংবর্ধনা গ্রহণ করেছেন সৈয়দ হাসান ইমাম, মিরানা জামান, নূতন, কাজী ফিরোজ রশীদ, গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, প্রযোজক সোহেল রানা, চিত্রনাট্যকার কাজী আজিজ, পরিবেশক ইফখারুল আলম ও প্রধান সহকারি পরিচালক শামসুল আলম। সম্মাননা প্রাপ্ত প্রত্যেককে ক্রেস্ট এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া  হয়।

তবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি রাজ্জাক, শাবানা, এটিএম শামসুজ্জামান ও খসরু। যদিও পরিচালক সমিতি থেকে জানানো হয়েছিলো যে, রাজ্জাক ও শাবানা দুজনই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসবেন এবং সংবর্ধনা গ্রহণ করবেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাদের দেখা পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, শাবানা দেশে আছেন। কিন্তু, পরিচালক সমিতি থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে নায়করাজ রাজ্জাক অসুস্থ থাকার কারণে অংশ নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন পরিচালক সমিতির সভাপতি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও নৃত্য পরিচালক সমিতির সভাপতি মাসুম বাবুল। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমী।

এছাড়া ‘ওরা ১১ জন’ ছবির পরিচালক মরহুম চাষী নজরুল ইসলামের পক্ষে তার স্ত্রী জোৎস্না কাজী সম্মাননা গ্রহণ করেন। এসময় তিনি বলেন, যুদ্ধের পর হঠাৎ একদল ছেলেমেয়ে বাসায় এসে ছবি বানানোর যজ্ঞ শুরু করে। শেষে ছবিটি যা দাঁড়ালো, তা দেখে চোখে পানি এসে গিয়েছিল। আমি তখন চাষীকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ছবির কলাকুশলীদের আমার হাতে সম্মাননা দিতে পেরে গর্ববোধ করছি। যে সময়ের ছবি, সেই সময়ের সাক্ষী আমি নিজেও। স্বাধীনতা পরবর্তী অগোছালো সময়ে এই ছবি নির্মাণ করেছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। এই ছবি চিরদিন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস হয়ে থাকবে।

গুণী অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, যুদ্ধের পরপর বাণিজ্যিক ছবি না বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ছবি বানালেন চাষী নজরুল ইসলাম। এ ছবির একজন আমি এখন ইতিহাসের সাক্ষী।

২৫ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে