বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০১৭, ০৯:১৫:৩১

'চিৎকার করে বলে ওঠেন, টাকা পাওয়া গেছে!'

'চিৎকার করে বলে ওঠেন,  টাকা পাওয়া গেছে!'

বিনোদন ডেস্ক: ১৯৯৬ সালের কথা। আমি তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। একদিন রাতে হঠাৎ করেই বাসায় এসে আব্বু বলেন, ‘আমার ভালো লাগছে না। চলো কক্সবাজার যাই। সবাই রেডি হও। ’ আমার মামারা তখন এসেছিলেন আমেরিকা থেকে। তাঁরাও ছিলেন বাসায়। হতে হতে তিন গাড়ি। একটিতে আমরা, একটিতে মামারা, অন্যটিতে আমাদের বাড়িওয়ালার ছেলে রনি ভাই। তখন কক্সবাজারের রাস্তা ছিল খারাপ।

গাড়ির ভেতর সবাই খুব ভয়ে ভয়ে। কখন যে কী ঘটে বসে! আব্বু ছিলেন সাহসী। তাঁর গাড়িটাই ছিল সামনে। যেতে যেতে পটিয়ার একটি রাস্তায় দেখা গেল গাছ ফেলে রাখা হয়েছে। মানে কোনো ডাকাতের দল ছিল আর কি। কিন্তু তিনটি গাড়ি একসঙ্গে দেখে তারা সরে যায়। মামা আর রনি ভাই গাড়ি থেকে নেমে গাছ সরান। আব্বু গাড়ির ভেতরেই ছিলেন, নামেননি।

গাড়ির সামনে গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে দেখে আব্বু নিজের কাছে থাকা পঞ্চাশ হাজার টাকার বাল্ডিলটা মোজার ভেতর লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু কক্সবাজার নামার পর সেটা ভুলে যান। বলেন, ‘আমার টাকাটা কোথায় যেন পড়ে গেছে। ’ সবার তো মন খারাপ। এত কষ্ট করে এলাম। টাকা হারিয়ে গেলে ঘুরব কিভাবে?

এর মধ্যে আশপাশের লোকজন ছুটে আসছে আব্বুকে এক নজর দেখার জন্য। যাক, সবাই পর্যটন হোটেলে লবিতে বসা। এমন সময় আব্বুর পায়ে মশা কাপড় দেয়। সেখানে চুলকাতে গিয়ে টের পান মোজার ভেতর রাখা টাকার কথা। চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘টাকা পাওয়া গেছে! টাকা পাওয়া গেছে!’

এরপর তো সবাই খুশি! শেষ পর্যন্ত অনেক হৈ-হুল্লোড় আর মাস্তিতে আমরা সময়টা পার করি। এই ট্যুরে যাঁরা ছিলেন প্রত্যেকেই ভীষণ এনজয় করেছেন। ঘটনাটি মনে এলে নিজের অজান্তেই হেসে ফেলি। মায়ের সঙ্গেও মাঝেমধ্যে গল্প হয় এ নিয়ে।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে