বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) নির্বাচন ছিল শুক্রবার। সে দিন হঠাৎ করে প্রেসক্লাবে চলে আসেন দীঘি। দীঘির পুরো নাম প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছোট্ট দীঘি বড় হয়ে গেছেন। সাথে রয়েছেন দুই ছোট কাজিন ও তাদের মা। বেশ হাস্যোজ্জ্বল দীঘি এদিকে-সেদিকে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। একসময়ের শিশুশিল্পী দীঘি আগামী ২০২০ সালে নায়িকা হয়ে পর্দায় ফিরবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রত। ২০২০ সালে এসএসসি পাসের পরই কেবল তিনি অভিনয়ে ফিরবেন।
প্রশ্ন করলাম, ‘এখানে কেন এসেছেন?’ দীঘি সলজ্জ হেসে বললেন, ‘কেন আসতে পারি না, আপনাদের ভোট দেখতে এসেছি। অনেক আঙ্কেল তো পরিচিত, তাঁদের ভোট হচ্ছে এ জন্য দেখতে এসেছি। ‘
এখন আপনার ব্যস্ততা কী নিয়ে? দীঘি বললেন, ‘এখন আমি স্ট্যামফোর্ড স্কুলে নাইনে পড়ছি। এখন ব্যস্ততা বলতে আমার পড়াশোনা নিয়েই আমি ব্যস্ত। পড়াশোনা ভালোভাবে শেষ করব সেটাই আমার লক্ষ্য। ২০১৯ সালে আমার এসএসসি শেষ হবে এর পরেই আমি অভিনয়ে ফিরবো। কেননা অভিনয় দিয়েই মানুষ আমাকে চেনে, তো এই প্রিয় জায়গাতে আমাকে ফিরতেই হবে। ‘
পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অধিকাংশ ছবিই ব্যবসা সফল। এর মধ্যে ৩৪টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ২০০৬ সালে ‘কাবুলিওয়ালা’, ২০১০ এ ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ এবং ২০১২ সালে ‘এক টাকার বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন দীঘি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো শিশুশিল্পী এতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি। আর এত বেশি জনপ্রিয়তাও পাননি। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সমানতালে তিনি সময় বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবেও পর্দায় তার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস