মিথ্যা তথ্য দিয়ে বেকায়দায় আদনান সামি
বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে জনপ্রিয় পাকিস্তানি গায়ক অাদনান সামিকে নিয়ে আবারো শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ।
ভারতীয় নাগরিকত্ব আদায়ে সামি তার আবেদনপত্রে লিখেছিলেন বিয়ে সংক্রান্ত একটি মামলায় তার নামে একটি মাত্র ফৌজদারি মামলা রয়েছে। কিন্তু প্রথমসারির একটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারির একাধিক মামলা রয়েছে।
এছাড়া পাওনা না মেটানোর জন্য একাধিক মামলার ঘানি তাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অনুসন্ধানে আরও জানা যায় পাকিস্তানে এই মুহূর্তে বিখ্যাত এ গায়কের নামে সাতটি ভিন্ন-ভিন্ন ধারায় মামলা চলছে।
যারমধ্যে নিজের সাবেক সচিব, পরিচালক নিরপত্তা এজেন্সির পাওনা পরিশোধ করেননি। সেই সাথে আয়করও প্রদান করেননি। আদনান সামি বছর দুয়েক আগে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তখন তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। সম্প্রতি আবারও আবেদন করেছেন ৪৩ বছর বয়সী এ সংগীতশিল্পী।
কিন্তু তার ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে টানাটানি চলছে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই বরাত দিয়ে জানা যায়, ভারতের সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট অনুযায়ী, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্যসহ আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে কোনো বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন। তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে ২০০১ সালে ভারতে আসেন।
এর পরের বছর তার ‘তেরা চেহরা’ অ্যালবামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এদিকে ২০১৫ সালের অগস্ট মাসে তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার আর তার পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়নি। তারপর থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতের নাগরিক তিনি। এদিকে আদনান সামির বাবা একজন পাকিস্তানি এবং মা ভারতীয়। জন্ম লন্ডনে। পড়াশোনা করেছেন ব্রিটেনে।
৩১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�