বিনোদন ডেস্ক : সালমান শাহ্র মৃত্যুর একুশ বছর পেরিয়ে গেলেও তার স্ত্রী সামিরা আজও মিডিয়ার মুখোমুখি হননি। কিন্তু কেন হচ্ছেন না? সামিরার এমন নিভৃতে থাকার বিষয়ে কথা হয়েছে সালমান শাহ্র শ্বশুর শফিকুল হক হীরা ও এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র সাথে।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন শফিকুল হক হীরা বলেন, ‘সামিরা তো তার খালাদের সঙ্গে সিআইডির অফিসে গিয়েছিল। সেখানে তাকে ৫-৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাহলে কেন বলা হয় আমরা তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলতে দিইনি?’
কিন্তু তাহলে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে তার আপত্তি কিসের?
জবাবে হীরা বললেন, ‘এটা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছে। তবে এখনও যদি কোনো আইনি সংস্থা থেকে তাকে ডাকা হয় তাহলে সে কথা বলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই দুবার পোস্টমর্টেম করা হয়েছে— সেখানে তো হত্যার কিছু পাওয়া যায়নি। তাছাড়া যে রুবির ভিডিও নিয়ে এত আলোচনা সে তো তার প্রথম স্বামী ক্যাপ্টেন জামিলের ফাঁসি হবার পর থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। দেখেন নাই ভিডিওতে সে কীরকম অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সামিরার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলেন, ‘সামিরা আপু আসলে এসব নিয়ে কথা বলতে এখনও প্রস্তুত নন।’
কিন্তু এর ফলে তো তাকে নিয়ে উঠা প্রশ্নগুলোর কোনো সমাধান হবে না? ‘এটা আমরা তাকে বলেছিলাম যে একটা সংবাদ সম্মেলন করে তোমার বক্তব্য তুলে ধর। তাহলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
শাবনূরের সঙ্গে সালমানের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে ওই আত্মীয় বলেন, ‘সামিরা আমাকে বলেছে, শাবনূরকে নিয়ে আমি কখনই বদারড ছিলাম না। কারণ শাবনূর যে ক্লাশ থেকে এসেছে সেরকম ক্লাশের একটা মেয়েকে সালমান বউ করে আনতো না কখনই।’
ডন-এর সাথে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে ওই আত্মীয় বলেন, ‘আমরা তখন খুব ছোট। পত্রিকায় খবর হয়েছে, ডন এর সাথে পালিয়ে গেলেন সামিরা। অথচ আমি আপুর সাথে বসা। আসলে আপুকে নিয়ে অনেক বেশি খবর প্রকাশিত যা সত্যি ছিল না। এ কারণে হয়ত তিনি দূরে থাকছেন।’
বর্তমান স্বামী মোস্তাকের সাথে পরকীয়ার ব্যাপারটি নিয়ে বলেন, ‘সামিরা তো বিয়েই করতে চায়নি। তিন বছর পরে আমরা দেখছি তাকে এক প্রকার জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সালমান শাহ্ হত্যা মামলার কারণে সে তার বড় ছেলেকে দেশে পড়াতে পারেনি। সবাই ওই ছেলেকে বলত, তোমার মা একজন খুনী। তাই বাধ্য হয়ে তাকে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’-পরিবর্তন.কম
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস