শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭, ০৩:৩২:৫২

'এই বিচার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিয়েছি, এই ঘটনার বিচার একদিন হবেই'

'এই বিচার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিয়েছি, এই ঘটনার বিচার একদিন হবেই'

বিনোদন ডেস্ক : সর্বশেষ বার্তায় হাসতে হাসতে রুবি বলেন, ‘সালমান শাহ খুন হতে পারে, আত্মহত্যাও করতে পারে। আমি এর কিছুই জানি না। কেউ আমাকে গালাগালি করলেও আমার কোনো অসুবিধা নেই। আমি যদি খুনি হই তাহলে আমাকে প্রমাণ করুক যে আমি খুনি। আমি আমেরিকান সিটিজেন। এখানে এসে আমাকে এত সহজে ধরে নিয়ে যাওয়া যাবে না।’

রুবির প্রথম স্বীকারোক্তিতে নড়েচড়ে উঠেছিল সালমান শাহের পরিবার। তারা ভেবেছিল মৃত্যুর ২১ বছর পর এবার সালমানের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে। কিন্তু রুবির এমন ডিগবাজিতে বিষয়টি বুঝি এলোমেলো হয়ে গেল। তবে সামলানের পরিবার এখনো আশা ছাড়েনি।

সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম বলেন, ‘একজন স্টেটমেন্ট দেয়ার পর যদি অস্বীকার করে তাহলে সেটা খতিয়ে দেখবে দেশের প্রশাসন। আমার মনে হচ্ছে, রুবিকে তার স্বামী মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার পর সে ভোল পাল্টেছে।

আলমগীর কুমকুম বলেন, আমরা কারও সাথে যাইনি। এই বিচার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিয়েছি এখন। এই ঘটনার বিচার একদিন হবেই।

কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে তিনি আরো বলেন, ইমন আমাদের সন্তান, কিন্তু সালমান শাহ সারা দেশের। এখন দেশের মানুষের সম্পত্তি সালমান শাহ, দেশের মানুষই এর বিচার চাইবে ও চাইছে। তিনি বলেন, ‘সামিরার বাবা হীরা কেন এত কথা বলছে মিডিয়াতে? তার স্ত্রী কেন প্রকাশ্যে কথা বলছেন না? সব মিডিয়া সামিরার বাবা, স্বামীর কাছে না গিয়ে সামিরার মা ও সামিরার কাছে যাক। তথ্য পেয়ে যাবে।

আর সামিরার বাবা মিডিয়ায় বক্তব্য দেয়, সালমান শাহ গরিব ছিল? তাকে নাকি টাকা দিত? তার তো ওই সময় ছয়টা গাড়ি ছিল। সালমান শাহ মারা যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে তার বউ সালমানের কাছ থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকা লোন নিয়েছিল। এ সত্ত্বেও এসব মনগড়া হাস্যকর কথা কেন বলেন সালমান শাহের শ্বশুর? প্রশ্নটি রাখেন সালমানের মামা।

সবশেষে আলমগীর কুমকুম বলেন, হজরত শাহজালালের দর্গায় কোনো আত্মহত্যাকারীর কবর হয় না। এটা নিয়ম বহির্ভূত। সেখানে সালমান শাহকে কবর দেয়া হয়েছে। এটা হচ্ছে আল্লাহর কুদরত।

এ দিকে বাংলাদেশ পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে জানা গেছে যে সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা তার দ্বিতীয় স্বামী মোস্তাককে নিয়ে বুধবার রাতেই থাইল্যান্ড গেছেন। সাথে ছিল সামিরার দ্বিতীয় সংসারের তিন সন্তান। এ খবরের সত্যতা জানতে পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) একজন কর্মকর্তা বলেন, তারা প্রতি মাসেই একবার করে থাইল্যান্ডে যান।

সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশকে জানান তার স্ত্রী সামিরা। কিন্তু সালমান শাহের পরিবার একে হত্যা বলে আসছিল। তবে গত দুই দশকেও এই মামলার রহস্য উদঘাটন হয়নি।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে