বিনোদন ডেস্ক: সালটা ২০১৭। দেশ জুড়ে পালিত হল স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি, চারিদিকে উৎসবের আমেজ। কিন্তু স্বাধীনতার এতগুলো বছর কাটিয়েও আমাদের দেশে নারী স্বাধীনতা এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রশ্নের মুখে। যেখানে মেয়েদের জন্য প্রতিনিয়ত নানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছে সরকার, সেখানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শারীরিক নিযার্তনের ঘটনা।
স্বাধীনতার সাত দশক কেটে গেলেও পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নিরাপত্তা খুঁজে বেড়াচ্ছে ভারতীয় নারীরা। সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে আসে সেরকমই একটি ঘটনা। ১২ বছরের এক নাবালিকাকে স্কুলের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় ছুরি দেখিয়ে শারীরিক নিযার্তন করা হয়। চন্ডীগড় শহরের এই ঘটনা আবারও সাক্ষী হয়ে থাকল নিরাপত্তাহীনতার। যেখানে শিশু থেকে শুরু করে বাদ পড়ছেন না বৃদ্ধাও।
এই ঘটনায় প্রত্যেকবারের মতো এবারও সরগরম মিডিয়া থেকে শুরু করে সমাজকর্মীরা। কিন্তু আদৌ কি এই সামাজিক ব্যাধির কোনও প্রতিকার আছে? তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন টেলি অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত তিনি। সোশ্যাল সাইটে তাঁর ভয়ের কথা জানিয়ে তিনি এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘বেটি বাঁচাও’ প্রকল্প নিয়েও।
বেশ কয়েকটি টুইট করেন এই টেলি তারকা। দিব্যাঙ্কা লেখেন, এই মুহূর্তে ভারতে মেয়েদের যা সামাজিক অবস্থান, তাঁর যদি কন্যা সন্তান হয় তবে সেই আগন্তুককে নিয়েও আতঙ্কে রয়েছেন অভিনেত্রী। টুইটে দিব্যাঙ্কা লিখেছেন, শুধু মাত্র ভোটাধিকার মহিলাদের সামাজিক অবস্থানের উন্নতি ঘটাতে পারে না। দেশের প্রতিটি মহিলার উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, এ দেশে মহিলাদের আর ভোট দেওয়া উচিত নয়, কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে বোঝা যাচ্ছে, এ সমাজে মহিলাদের কোনও গুরুত্ব নেই। তিনি লিখেছেন, আমরা এই দেশকে ‘No Womans Land’ বলতে পারি কিংবা বলতে পারি ‘Rapist Paradise’।
দিব্যাঙ্কার প্রতিটা টুইটে উঠে এসেছে, চারপাশের পরিস্থিতি ঘিরে তাঁর অসহায়তার কথা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাই তাঁর আরজি, এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের সাজা এমন হওয়া উচিত যাতে কেউ কখনও খারাপ চোখে কোনও মহিলার দিকে তাকাতে ভয় পায়।
দিব্যাঙ্কার এই ধরনের আরজি আবারও যেন সেই প্রশ্নের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়ে দিল আমাদের দেশের মহিলা সুরক্ষা ব্যবস্থাকে। রোজই কোনও না কোনও ধর্ষণ,শ্লীলতাহানির খবর উঠে আসে শিরোনামে। প্রতিদিন বেড়ে ওঠা এই সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে আমাদের আরও কত বছর লাগবে সেটাই প্রশ্ন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস