বিনোদন ডেস্ক: প্রায় ২০ বছর পর আবার একত্রিত হলেন মর্মস্পর্শী ‘টাইটানিক’ ছবির নায়ক লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং নায়িকা কেট উইন্সলেট। ছবিতে তারা জ্যাক ও রোজের ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বের মানুষকে কাঁদিয়েছেন। প্রেমিক, প্রেমিকাদের দিয়েছেন প্রেমের রসদ। দেখিয়েছেন প্রেম কখনো মরে না। ঠিক যেন তেমনটিই ঘটলো তাদের জীবনে। সেই ১৯৯৭ সালের দিকে তাদের একত্রে এক পর্যায় আসা। ‘টাইটানিক’ নিয়ে বিশ্বকে টালমাটাল করে দিলেন।
সিনেমা হলে দর্শকদের কান্নার খবর মিডিয়ার খবরে প্রকাশ হতে থাকলো। সেই দুই অমর চরিত্রে রূপদানকারী ডিক্যাপ্রিও আর কেট দু’জনের সাক্ষাত হলো ২০ বছর পরে। তাদের এই সাক্ষাত নিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, রোজ এবং জ্যাক বাহ্যিক দৃষ্টিতে একত্রে নেই। কিন্তু কেট উইন্সলেট ও ডিক্যাপ্রিও প্রমাণ করে দিয়েছেন তাদের বন্ধুত্ব টিকে থাকবে। সব ঘাত প্রতিঘাতের মুখেও তাদের বন্ধুত্ব অটল থাকবে।
এমনকি যে আইসবার্গ বা বরফের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়েছিল টাইটানিক তেমন কোনো ধাক্কা লাগলেও তাদের বন্ধুত্বে ভাটা পড়বে না। ফ্রান্সের সেইন্ট ট্রোপেজে জুলাই মাসে তারা এতদিন পর সাক্ষাতে মিলিত হলেন। ফ্রান্সে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর রয়েছে একটি বিলাসবহুল এস্টেট। সেখানেই জুলাই মাসে দু’বন্ধুর রিইউনিয়ন বা পুনর্মিলন।
কেট উইন্সলেটের বয়স এখন ৪১। তিন সন্তানের মা হয়েছেন।লিওনার্দোর বয়স ৪২। তারা প্রথম সাক্ষাতে একে অন্যের দিকে তাকিয়ে রইলেন অনেকটা সময়। হয়তো ভাবলেন, সময় কত দ্রুত ফুরিয়ে যায়। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে ২০টি বছর। এর মধ্যে কতকিছু পাল্টে গেছে। কেউ উইন্সলেট বা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর চেহারা সুরত, ত্বকের প্রকাশে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু পরিবর্তন হয় নি তাদের সেই প্রথম দিনগুলোতে একসঙ্গে থাকা, অভিনয় করার স্মৃতি।
একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরলেন। চোখে চোখ রাখলেন। এ সময় কেট উইন্সলেট ছিলেন স্বল্প বসনে, বিকিনি পরা। তার ওপর একটি হালকা সাদা কভার-আপ পরেছিলেন। দিনের বেশির ভাগ সময় ছিলেন কালো, বড় সানগ্লাস পরা। তপ্ত রোদ থেকে চোখকে ছায়া দেয়ার চেষ্টা এটা তার। অন্যদিকে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ছিলেন হাফ-প্যান্ট পরা। তিনি সম্প্রতি চুটিয়ে ডেটিং করেছেন মডেল নিনা আগডালের সঙ্গে। তবে কেট উইন্সলেটকে দেখে তিনি যেন মুহূর্তেই সব ভুলে যান। তার হাফ প্যান্টটি ছিল গাঢ় নীল রঙের। তার ওপর সাদা ডিজাইন করা।
দু’জনের যে ছবি প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা যায়, লিওনার্দো এক সময় কেটকে জড়িয়ে ধরেছেন বামহাতে। কেট উইন্সলেটও যেন নিজেকে সঁপে দেন লিওনার্দোর বুকে। তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে। চোখের সানগ্লাস খুলে হাতে নিয়ে হয়তো লিওনার্দোর বুকে ‘টাইটানিকের’ সুখ খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করেন। ফ্রান্সের ওই এস্টেটে কেট উইন্সলেটকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান লিওনার্দো।
২০ বছর পরে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, তাকে তো আর ফিরিয়ে দেয়া যায় না। পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। ঠিক তেমনি পুরনো প্রেম যেন তার চেয়েও বেশি বাড়ে। রোজ নতুন করে জ্যাকের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস