শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭, ০৩:০৩:২০

হাত জোড় করে বলবো, বাবার সম্মানে আপনারা আর এই কাজটা করবেন না: বাপ্পারাজ

হাত জোড় করে বলবো, বাবার সম্মানে আপনারা আর এই কাজটা করবেন না: বাপ্পারাজ

বিনোদন ডেস্ক: দেশিয় চলচ্চিত্রের শিল্পাঙ্গনে মোটামুটি অস্থির সময় চলছে। নির্মাতা থেকে অভিনয়শিল্পী, বহিষ্কার, হামলা-মামলা আর আদালতে গড়ানো সেই সোনালি যুগের বিএফডিসি আজ নানা অভিযোগে জর্জরিত। সবশেষ এফডিসির শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধে, কয়েক দফায় শাকিব খানকে বয়কট-নিষিদ্ধ করার ঘোষণাও দিয়েছেন নির্মাতা সংশ্লিষ্ট সংগঠন।
 
কারণ দর্শানোর নোটিশ পান বাপ্পারাজ, নিষিদ্ধের পর সম্প্রতি চলচ্চিত্রকে বিদায় জানিয়েছেন তরুণ নির্মাতা শামীম আহমেদ রনী। এই অস্থির সময়ে নায়করাজকেও হতে হয়েছে হেয়। তবে এই গ্লানি বুকেই নিয়েই চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ ও কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক।
 
তবে এসব গ্লানি ধুয়ে মুছে সামনে এগিয়ে যেতে চান চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। শনিবার এফডিসিতে নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে আয়োজিত শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলে সেই দাবি রাখলেন রাজ্জাকপুত্র নায়ক-নির্মাতা বাপ্পারাজ।
 
বাপ্পারাজ বলেন, ‘কোন ফিল্ম লোকের হাতে ইন্ডাস্ট্রি এখন নেই, বাইরের লোকের হাতে। রাজ্জাক সাহেব ইন্ডাস্ট্রিকে বিভাজন করে যাননি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এখনকার অবস্থা খুব খারাপ। আমরা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আবার ফেরত পেতে চায়, বাইরের অনেকে ক্লাশ(সংঘর্ষ) বাঁধিয়ে তালি দিচ্ছে।’
 
শিল্পের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করা এবং নিষিদ্ধ নামের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বাপ্পারাজ আরো বলেন, ‘আব্বাকে মাটি দেয়ার পর পিছন ফিরেই শাকিব এবং জায়েদ খানকে দেখে বলি- তোমরা দুজন গলাগলি করো, কোন ক্লাশে(সংঘর্ষ) যাবা না। আজকে একটা দাবি নিয়ে আমি এসেছি। এখানে সবাই আছেন, অনেক সিনিয়ররা আছেন, আমি হাত জোড় করে বলবো-আমার বাবা চলে গেছেন, তাঁর ওসিলাই সম্মানে, আজকে এই ব্যান্ড খেলাটা বন্ধ করে দিন। আমি ফিল্মে আর কোনদিন আসবো না, এখানে হয়তো আজই আমার শেষ আসা-যদি না কালকের মধ্যে শুনি সব ব্যান্ড(নিষিদ্ধ) তুলে দেয়া হয়েছে, আমরা সবাই মিলে গেছি।’
 
উল্লেখ্য, নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে আয়োজিত শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলে বাপ্পারাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অভিনয় শিল্পী, গণমাধ্যমকর্মী, শিল্পী সমিতির নেতা, পরিচালক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
২৬ আগস্ট ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে