বুধবার, ০৪ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:৫১:৪৩

হঠাৎ বাংলাদেশে আসছেন দেবশ্রী

হঠাৎ বাংলাদেশে আসছেন দেবশ্রী

বিনোদন ডেস্ক : কলকাতার স্বনামধন্য অভিনেত্রী ও রাজনীতিক দেবশ্রী রায় বাংলাদেশে আসছেন। কলকাতা টু ঢাকার একটি ফ্লাইটে তিনি আজ (বুধবার) চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাবেন। জানা গেছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতা অবলম্বনে স্বনামে নির্মিত হচ্ছে যৌথ প্রযোজনার ছবি। আর এতে দেবশ্রীর সঙ্গে জুটি বাঁধছেন ঢাকার অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। ঢাকার ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও কলকাতার রেশমী পিকচার্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য এই ছবির শ্যুটিং শুরু হচ্ছে ৫ নভেম্বর থেকে। লোকেশন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন। সেখানে টানা শ্যুটিং চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ৯ নভেম্বর ঢাকায় ফিরবে ‘হঠাৎ দেখা’ টিম। একইদিন এই ছবি নিয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের আয়োজনে একটি সংবাদ সম্মেলনের কথাও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু ছবির শ্যুটিং চট্টগ্রাম কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, ‘ছবির গল্পটি মূলত রেলস্টেশনকেন্দ্রিক। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথের সময়কার আবহ ফুটিয়ে তুলতেই চট্টগ্রামে ছবির দৃশ্যধারণ হচ্ছে। সেখানে বৃটিশ আমলে গড়ে ওঠা রেলস্টেশনে এর কাজ হবে।’ এদিকে প্রযোজনা সূত্রে জানা গেছে, ছবিটির বেশ কিছু অংশের দৃশ্যধারণ কলকাতাতেও হবে। তবে সেটার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত নয়। কলকাতার মেধাবী নির্মাতা রেশমী মিত্রের সঙ্গে ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন ঢাকার পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন বিদ্যুৎ। রেশমী মিত্র এরইমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। অপেক্ষা দেবশ্রীর। গল্প সম্পর্কে নির্মাতারা জানান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার প্রতি লাইনের আড়ালে আছে ভালোবাসার এক চিরন্তন কাহিনীর আভাস। সেই আভাকে রূপালি পর্দায় তুলে ধরতেই এই ছবির নির্মাণ ভাবনা। আগামী ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবির জয়ন্তীতে দুই বাংলায় একসঙ্গে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে ছবিটির। প্রসঙ্গত, নব্বই দশকের প্রায় পুরোটা জুড়ে দেবশ্রী রায় ভারতীয় বাংলা ছবির প্রধান অভিনেত্রী ছিলেন। একাধারে কমার্শিয়াল এবং প্যারালাল ছবিতে সমান তালে অভিনয় করেছেন। নায়িকা চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘নদী থেকে সাগরে’, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার প্রথম ব্লকব্লাস্টার হিট ছবি তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’। এই ছবিতে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন তাপস পাল এবং মহুয়া রায়চৌধুরী। তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ এর ‘উনিশে এপ্রিল’ চলচ্চিত্রে একজন তরুণ হতাশাগ্রস্ত ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় করে ১৯৯৬ সালে জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার পান। তার অন্যান্য সেরা ছবির মধ্যে আছে ‘৩৬ চৌরঙ্গী লেন’, ‘লাইফ ইন পার্ক স্ট্রীট’, ‘মমতা কি ছাওন মেইন’, ‘কাভি আজনাবি থি’, ‘ফুলওয়ারি’, ‘জাস্টিস চৌধুরী’ প্রভৃতি। তিনি ১৯৮৮ সালে বালাজি রাজ চোপড়ার পরিচালনায় ভারতের বিখ্যাত পুরাণকাহিনী ‘মহাভারত’ এ সত্যবতী চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া জি বাংলা চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এ তাকে উপস্থাপক হিসেবেও দেখা গেছে। ৪ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে