রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৯:০০:৪৩

অভিনয় থেকে অবসরের পর যে কাজ করবেন মিশা সওদাগর

অভিনয় থেকে অবসরের পর যে কাজ করবেন মিশা সওদাগর

মেহেদী মাসুদ, বিনোদন ডেস্ক :  বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান এই সভাপতি অভিনয় শুরু করেন ১৯৮৬ সালে, ছবির নাম চেতনা।

এরপর অভিনয় করেছেন আট শতাধিক ছবিতে। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার। গতকাল শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে নানা বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। এসব আলোচনায় ছিল চলচ্চিত্র আর তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। কথা বলেছেন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও।

►ঈদের ছুটি শেষ। চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছেন?

চলচ্চিত্র নিয়ে আমার কিছু কথা আছে। এবার ঈদের ছুটিতে আমি চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক কিছু ভেবেছি। কিছু সিদ্ধান্তও নিয়েছি।

►কী সিদ্ধান্ত?

আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

►কেন? কোনো রাগ কিংবা ক্ষোভ...

না, আমি অনেক ভেবেচিন্তে কথাগুলো বলছি। চলচ্চিত্রে অনেক দিন তো হলো, এবার নিজের জন্য একটু সময় দিতে চাই। মহরত, শুটিং, ডাবিং, প্রিমিয়ার—এসব করেই তো জীবনের অনেকটা সময় পার করে দিয়েছি।

►কিন্তু চলচ্চিত্রের জন্যই আজ আপনি ‘মিশা সওদাগর’।

ঠিকই বলেছেন। একটা ব্যাপার ইদানীং আমার মধ্যে খুব কাজ করছে—আমি টাকার জন্য বাঁচতে চাই না, নিজের জন্য বাঁচতে চাই।

►অভিনয় থেকে অবসরের পর কী করবেন?

আমি এখন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি। সংগঠনে পর্যাপ্ত সময় দেব। চলচ্চিত্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য কাজ করব। নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবব।

►আর আপনার হাতে থাকা ছবিগুলো?

কয়েকটি ছবি আছে। এ বছর এগুলোর কাজ শেষ করব। এরপর বিশ্রাম। আগামী বছর অন্য কিছু করার কথা ভাবছি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আমার খুব পছন্দের একটি কাজ। হয়তো এই কাজও করতে পারি।

►চলচ্চিত্রের সঙ্গে আপনার এত দিনের সম্পর্ক, এই অঙ্গন থেকে এত দ্রুত নিজেকে সরিয়ে নিতে পারবেন?

চেষ্টা করব। আর আমি নিজেও হাঁপিয়ে উঠেছি। একই ধরনের চরিত্র, প্রায় একই ধরনের সংলাপ। আর কত! কোনো বৈচিত্র্য নেই। বৈচিত্র্যহীন কাজ করতে আর চাই না। চলচ্চিত্রকে আর পেশা হিসেবে দেখব না। যদি আমার বয়স আর সময় বুঝে কেউ তেমন কোনো চরিত্র নিয়ে আসে, আর তা যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে তেমন কাজ হয়তো মাঝে মাঝে করব। কিন্তু পেশা হিসেবে আর নয়।

►চলচ্চিত্রে কারও সঙ্গে ইদানীং আপনার মনোমালিন্য হয়েছে?

একদম না। কারও সঙ্গে আমার কোনো বৈরিতা নেই। এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। আমি চাই আমার জায়গায় অন্য কেউ আসুক। আমি যদি আসন পেতে বসে থাকি, তাহলে নতুন কেউ এখানে আসার জায়গা পাবে না। তাদের জন্যও জায়গা ছাড়তে হবে।

►আপনার পরিবারের কথা বলুন।

আমার স্ত্রী শিক্ষকতা করছে। বড় ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। ছোট ছেলে ক্লাস ফোরে পড়ছে।

►দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এমনটা বলছেন না তো?

আপনি নিশ্চিন্তে পাঠকদের বলতে পারেন, আমি আপাতত অবসরে যাচ্ছি। হয়তো এটাই স্থায়ী হবে। --প্রথম আলো

এমটিনিউজ২৪/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে