মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০১:০৩:৫১

এই কাজটা না করলে নিজেকে ইনকমপ্লিট লাগে: প্রসেনজিত

এই কাজটা না করলে নিজেকে ইনকমপ্লিট লাগে: প্রসেনজিত

বিনোদন ডেস্ক : শহর কাবু এখন কাকাবাবু সন্তু ফিবারে। তবে কাকাবাবু তার ভাইপো সন্তু কে নিয়ে ব্যস্ত ছবির প্রমোশনে। সেরকমই ‘অউধ’ রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি খেতে খেতে আড্ডা চলল কাকাবাবুর সঙ্গে। পুজো নিয়ে আড্ডা দিলেন অতসী মুখোপাধ্যায়।

► প্রশ্ন : পুজোয় ‘ইয়েতি অভিযান’ রিলিজ করছে খুবই ব্যস্ত তুমি তো তার পাশাপাশি শপিং কতটা কমপ্লিট?

প্রসেনজিত: ওয়েল…… হ্যাঁ ‘ইয়েতি অভিযান’ আসছে পুজোয়। তো সেক্ষেত্রে আমাদের শ্যুটিং করতে যতগুলো দিন লাগে সেরকমই প্রমোশনেও একই সময় লাগে। এমনকি সেই প্রমোশন টা যে শুধুমাত্র শহরের মধ্যে থাকে তা নয় বাইরেও যেতে হয়। অন্য দেশেও যেতে হয়।

সেখানে চাপ টা খুব বেড়ে যায়। আর পুজোর মধ্যে ছবি রিলিজ হলে কেনাকাটা খুব একটা হয়না। তবু আমি তার মধ্যেই চেষ্টা করি আমার সঙ্গে যারা সারা বছর থাকে তাঁদের জন্য এমনকি নিজের জন্য কিছু কিনে নিতে।

আর আমার একটা বড় ঘর আছে। পুজোর আগে সেই ঘর এ ভর্তি প্যাকেট থাকে। সেখান দিয়ে হাটা যায়না। আমার বাড়ি তে যারা থাকেন আমার পিসি আমার আরও বড় যারা আছেন তো সবার জন্যই বলা যায় ৯৯% মার্কেটিং আমি নিজে করতেই পছন্দ করি। আমি অন্য দের দিয়ে কেনাকাটা করিয়ে কাউকে দেওয়া পছন্দ করিনা। আর আই লাভ মার্কেটিং।

► প্রশ্ন : আচ্ছা শ্যুটিং চলাকালীন তোমাদের ডায়েট চার্ট এ থাকতেই হয় তোমায় দেখেও সেটা বোঝা যায়। তো পুজোয় কি কি রাখবে খাবারের তালিকায়?

প্রসেনজিত: দেখো, পুজোয় আমি খাওয়া-দাওয়া খুব যে উল্টোপাল্টা করি তা নয়। তবে পুজোর চারটে দিন আমি একেবারে যেখান থেকে বার করে ফেলি যেটা প্রত্যেক বারই করি সেটা হল মায়ের ভোগ খাওয়া। কারণ পুজোর সময় ভোগ তা না খেলে নিজেকে কেমন ইনকমপ্লিট মনে হয়। কারণ ওই ভোগের স্বাদ টা আমি সারা বছরে আর পাবো না। তারপর পুজো টা যেই শেষ হয়ে যায় তার পর চেপে চুপে খাই, এক্সেসাইজ টা বাড়িয়ে দি। বাট পুজোর সময় আমি ভোগ খাবোই।

► প্রশ্ন : পুজোর প্ল্যানিং কি ?

প্রসেনজিত: পুজোর মধ্যে প্রত্যেক বছর যেটা হয় আমার জন্মদিনটা এমন দিনে পড়ে কখনও নবমী কখনও সপ্তমী এবছর যেমন দশমীতে পড়ে গেছে তো একটা দিন তো সেটাতেই চলে যায়। আমার যত ফ্যানস আছে তাঁদের সঙ্গে কাটাতে হয়। এমনকি আমার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এদেরকেও সময় দিতে হয়। তো এই করে ওই দিন টা চলে যায়।

তাছাড়া আমার একটা জায়গা আছে সেখানে আমি প্রত্যেক বছর যাই টা হল বাচ্চাদের হোমে। ওদেরকে লাঞ্চ খাওয়াই। তো ওই একটা দিন চলেই যায়। বাকি দিনটা চেষ্টা করি বাড়িতেই থাকতে কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনা। বাড়িতে সকলের জন্য দরজা খোলা থাকে। যাদের আশার দরকার তারা আসেন। আড্ডা হয়, নানা গল্প চলে, এমনকি বাঙালি খাওয়া-দাওয়া হয়। সিনেমা দেখি খুব। পুজোর সময় ওই একটা টাইম আমি ফাকা থাকি। টাই যে সিনেমা গুলো দেখা হয়ে ওঠেনা সেগুলো দেখি। পুরোটাই আড্ডা মুডে থাকি।

► প্রশ্ন :  পুজোয় অনেকগুলো ছবি মুক্তি পাচ্ছে তার সঙ্গে থাকছে ‘ইয়েতি অভিযান’ দর্শককে কি বলবে?

প্রসেনজিত: দেখ, আমি এটাই বলব ‘ইয়েতি অভিযান’ মানেই কাকাবাবু-সন্তু। ‘মিশর রহস্য’ আপনারা দেখেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এটা একটা অসাধারণ সৃষ্টি, বিশেষ করে বাচ্চাদের অ্যাডভেঞ্চারস গল্প। তো আমার মনে হয় সকলে মিলে দেখতে পারবে ছবিটা।

কাকাবাবুকে দর্শক খুবই ভালবেসেছে। ‘মিশর রহস্যে’র থেকে ‘ইয়েতি অভিযান’ আমারা আরও বড় স্কেলে বানাচ্ছি। মাউন্ট এভারেস্টে যাইনি ঠিকই কিন্তু সুইজারল্যান্ডে খুব কষ্টের মধ্যে শ্যুটিং করেছি। হ্যাঁ পুজোয় অনেক ছবি মুক্তি পাচ্ছে সব কটাই তার আলাদা আলাদা জায়গা পাবে। আমার সবকটা মুভি দেখার খুব ইচ্ছা। ‘ব্যোমকেশ’ তো মানুষ দেখবেনই।

কারণ বাঙালিদের কাছে কাকাবাবু,ব্যোমকেশ,ফেলুদা এগুলো নিজেদের। এমনকি বাকি ছবি গুলোও খুব সুন্দর। তবে আমার ছবির ক্ষেত্রে আমি স্পেশালই বলতে চাই, সৃজিত এর ‘ইয়েতি অভিযান’ ছবিটা আপনারা হলে গিয়ে দেখবেন প্লিজ। কারণ আমারা অনেক সময় বলতে থাকি যে সাউথের লোকেরা ‘বাহুবলি’ করছে।

হ্যাঁ আমারা ‘বাহুবলি’ করতে পারিনি এটা ঠিকই কিন্তু আমি এটা মনে করি যদি কোন বাঙালি হলে বসে ‘ইয়েতি অভিযান’ দেখেন তো তারা ভাববেন যে বাঙলায় এরকম একটা ছবি হতে পারে। তো এটা স্ব-পরিবারে বাচ্চা দের নিয়ে হই-হই করে দেখতে যাবেন হলে, তাহলে এটাই আমার কাছে বড় উপহার হবে।

► প্রশ্ন : সবার পক্ষে সুইজারল্যান্ড যাওয়া সম্ভব হয়না তো ‘ইয়েতি অভিযান’ দেখে দর্শক সুইজারল্যান্ডের আবহাওয়া ফিল করবে বলছ?

প্রসেনজিত: অ্যাবস,অ্যাবস,অ্যাবস……… এটুকু বলতে পারি হলে বসে দর্শকের ঠাণ্ডা লাগবে। --কলকাতা২৪

এমটিনিউজ২৪/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে