বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০১:৫০:৩০

প্লিজ আমাদের শান্তিতে থাকতে দিন : ময়ূরী

প্লিজ আমাদের শান্তিতে থাকতে দিন : ময়ূরী

বিনোদন ডেস্ক : ঢালিউডের এক সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা ময়ূরী তৃতীয় বারের মতো বিয়ে করেছেন— এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের মিডিয়া সরগরম হয়ে উঠে। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত হন ময়ূরী। তিনি জানান, তৃতীয় নয়, এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে।

ময়ূরী বুধবার বলেন, হ্যাঁ আমি বিয়ে করেছি, তবে তা তৃতীয় বিয়ে নয় দ্বিতীয়। আমি তৃতীয়বার বিয়ে করেছি এমন কথা রটিয়ে আমাকে হেয় করা হচ্ছে। আমার স্বামীকে বিব্রত করা হচ্ছে। গত মাসে আমি শফিক জুয়েলকে বিয়ে করেছি। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। আমরা সুখে আছি, শান্তিতে আছি। প্লিজ আমাদের শান্তিতে থাকতে দিন।

শফিক জুয়েলের সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়ে ময়ূরী বলেন, তার সঙ্গে আমার পরিচয় এক বছরেরও বেশি হবে। সে আমার মেয়েকেও অনেক পছন্দ করে। এক সময় আমাদের মাঝে একটা মানসিক সম্পর্ক হয়, আমরা বিয়ের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি, শফিকের যেহেতু আমার মেয়েকে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, তাই একটা সময় তাকে আমি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। আমাদের দুই পরিবারকে জানিয়ে পারিবারিকভাবেই আমরা বিয়ে করেছি।

ময়ূরীর প্রথম স্বামী ছিলেন রেজাউল করিম খান। তিনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তার প্রথম স্বামী রেজাউল করিম মারা যান ২০১৫ সালে।

সম্প্রতি ময়ুরী এই বিয়ে খবরে বলা হয় ‘প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর শ্রাবণ নামের একজনের সঙ্গে বিয়ে হয় নায়িকার। সেখানে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে এ বছরের আগস্টে জুয়েল নামের আরেক ছেলেকে বিয়ে করেছেন তিনি। এই নিয়ে তিনবার বিয়ে করলেন নায়িকা।

তবে গণমাধ্যমের এ খবরকে ভিত্তিহীন বলেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের উত্তাপ ছড়ানো নায়িকা ময়ূরী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে এটি আমার তৃতীয় বিয়ে। আসলে তা সত্য নয়। প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর আর কাউকে আমি বিয়ে করিনি। যে শ্রাবণ শাহের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে বলে বলা হচ্ছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। জুয়েলই আমার দ্বিতীয় এবং শেষ স্বামী। দোয়া করবেন তার স্ত্রী থাকাকালীনই যেন আমার মৃত্যু হয়।’

বর্তমান স্বামীকে নিয়ে ময়ূরী আরও বলেন, ‘জুয়েলই আমাকে ধর্মের পথে আসতে সহায়তা করেছে। তার উৎসাহ, অনুপ্রেরণায় আমি এখন নিয়মিত ধর্মকর্ম করি। তাবলীগেও গিয়েছি। বলতে পারেন আমি এখন পুরোদস্তুর পর্দার ভেতর চলাফেরা করি।’

নব্বইয়ের দশক থেকে এ পর্যন্ত ময়ূরীর তিন শতাধিক ছবি মুক্তি পেয়েছে, যার প্রায় সবই অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত। মরণ কামড়, মরণ নিশান, ইজ্জতের লড়াই, টক্কর, বোবা খুনি, আজব গজব, ডাকু ফুলান, মৃত্যুর মুখেসহ অসংখ্য আলোচিত ছবির নায়িকা তিনি।

অন্যদিকে, আবার নার্গিস আকতার পরিচালিত ‘চার সতীনের ঘর’ ছবিতে নায়ক আলমগীরের বিপরীতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন ময়ূরী।

১৯৯৮ সালে ‘মৃত্যুর মুখে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন তিনি। তাকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন মাহমুদ নামের একজন প্রযোজক। কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের পরই ময়ূরী জড়িত হন তথাকথিক অশ্লীল ছবির সঙ্গে। কাটপিস সিনেমার খ্যাতিমান অভিনেত্রী ছিলেন তিনি।

পরে চলচ্চিত্রে ‘অশ্লীলতা বন্ধে’র আন্দোলন শুরু হলে কাজ হারাতে শুরু করেন মূয়রী। সেই সময় মঞ্চে ও যাত্রাপালায় কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে থাকেন। চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে গেলেও চলচ্চিত্রের দর্শক তাকে ভোলেনি।  
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে