সোমবার, ০২ অক্টোবর, ২০১৭, ০৯:১২:১১

'বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পালিয়ে যায় জান্নাতুল নাঈম’

'বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পালিয়ে যায় জান্নাতুল নাঈম’

বিনোদন ডেস্ক: 'মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ মুকুট বিজয়ী জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে নিয়ে নানা বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে এভ্রিলের বিয়ে ও তার ভিডিও নিয়ে বিতর্কে নতুন মাত্রা পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার কথা হয় এভ্রিলে স্বামী হিসেবে পরিচিত মনজুর উদ্দীন রানার সঙ্গে।২০১৩ সালের মার্চে বিয়ে করার তিনমাস পর স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান জান্নাতুল। তারপর আর ফিরে আসেননি তিনি।

সোমবার চন্দনাইশ পৌর সদরের কাজী (নিকাহ রেজিস্ট্রার) অধ্যাপক ত্বকী উদ্দীন মোহাম্মদ ছবকীর বিবাহ রেজিস্ট্রার বই থেকে জানা যায়, ২১ মার্চ ২০১৩ সালে জান্নাতুল নাঈম ও মনজুর উদ্দীন রানার বিয়ে হয়। বর রানা চন্দনাইশ উপজেলা সদরের ভিআইপি ক্লথ স্টোরের মালিক। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। জান্নাতুল নাঈমের পাঠানো তালাকনামাও উদ্ধার করা গেছে।

সোমবার বিকেলে চন্দনাইশের হাজীররপাড়া এলাকায় জান্নাতুলের সাবেক শুশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলার বাড়িটি বেশ সাজানো গোছানো। বাড়িতেই পাওয়া যায় জান্নাতুলের সাবেক স্বামী মনজুর উদ্দীন রানাকে।

বাড়িতে বসে আলাপকালে মনজুর জানান, বাড়ির সবার অমতে নিজের পছন্দেই নিম্নবিত্ত পরিবারের জান্নাতুলকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। বর যাত্রীদের আপ্যায়ন করার মতো সামর্থ্য না থাকায়, বিয়েতে মনজুরের পরিবার থেকে জান্নাতুলের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দিয়ে বরযাত্রীর আপ্যায়ন খরচের জোগান দেওয়া হয়েছিল।

সুন্দরী হওয়ার কারণে তার স্ত্রীর জান্নাতুল নাঈমের কোনো ইচ্ছা তিনি অপূর্ণ রাখেননি বলেও মন্তব্য করেন মনজুর। তিনি বলেন, তিন মাস সংসার করার পর জান্নাতুল অন্তঃসত্ত্বা হয়। এর মাত্র একমাসের মাথায় বাপের বাড়ি বেড়াতে যায় জান্নাতুল। সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নানাভাবে হুমকি দিয়ে মনজুরকে চট্টগ্রাম শহরে ডেকে নিয়ে তালাক দিতে বাধ্য করেন বিতর্কিত 'মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ' বিজয়ী জান্নাতুল নাঈম।

মনজুরের বাড়ি তার বাবা হাজি চুন্নু মিয়া ও মা রেজিয়া খাতুনের সঙ্গেও কথা হয়। তারা বলেন, 'পুত্রবধূ একটু বেশিই বিলাসী ছিল। স্বামীকে দিয়ে উচ্চ মূল্যের শাড়ি, প্রসাধন সামগ্রী কিনে আনাতো। একদিনের জন্যও শ্বশুর বাড়ির কোনো কাজে সে হাত দেয়নি। শুধুমাত্র সুন্দরী হওয়ার কারণেই তাদের ছেলে সবারই অমতে তাকে বউ করে ঘরে এনছিল। তবে বউ হিসেবে তাকে বাড়ির সবাই মেনে নিলেও সে সম্মান সে রাখেনি।'

এদিকে, সোমবার বিকেলে জান্নাতুল নাঈমের বাপের বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের রাউলীবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গিঞ্জি পরিবেশের জান্নাতুলের বাবা আবু তাহেরের বাড়ি। তবে বাড়িটি পাওয়া যায় তালাবদ্ধ।

এলাকার কয়েকজন জানান, বাড়ির সবাই কোথাও বেড়াতে গেছে। তবে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জান্নাতুলের বিয়েটি খুব জাকজমকের সঙ্গে হয়েছিল এবং কয়েক মাস শ্বশুড় বাড়িতে তিনি সুখেও ছিলেন। এক সময়ের ছোটখাট কাঠ ব্যবসায়ী আবু তাহের ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে এলাকায় এসে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করেন। আর্থিক সঙ্গতি কম থাকলেও তিনভাই দুই বোনের মধ্যে বড় জান্নাতুলকে লেখাপড়া করাতে চেয়েছিলেন তাহের।

এ সময় মোবাইল ফোনে আবু তাহের  বলেন, বিয়ের পর নাইয়র এসে সে (জান্নাতুল) বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের আর কোনো যোগাযোগ নেই। এখন তাকে মেয়ে হিসাবেও মেনে নিতে পারছেন না তিনি। এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি সদস্য) নওশা মিয়া জানান, জান্নাতুলের বিয়ে তো হয়েছে একথা এলাকার সবাই জানে। আজকে বিয়ে হয়নি বললে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।-সমকাল
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে