বিনোদন ডেস্ক : পরিচালক ইমতিয়াজ আলির সুপারহিট ছবি ‘যব উই মেট’-এর মুক্তির ১০ বছর পূরণ হল গতকাল। ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের হিট জুটি শাহিদ-কারিনা অভিনীত ছবিটি। এই ছবির আরও একটি বিশেষত্ব হল, এই ছবি মুক্তির সময়েই শাহিদ-কারিনার প্রেমকাহিনী প্রথম প্রকাশ্যে আসে।
শুধু তাই নয়, টিনসেলটাউনের অত্যন্ত চর্চিত এই জুটি যে খুব তাড়াতাড়ি বিয়েও করতে চলেছেন, তাও শোনা গিয়েছিল সেই সময়ে। কিন্তু ভাগ্য তো আর কেউ বদলাতে পারে না। ভাগ্যে যা লেখা আছে, তাই তো হবে। আচমকা আলাদা হয়ে যান সাসা আর বেবো। কিন্তু কেন এই হঠাত্ ছন্দপতন? কী হয়েছিল তাঁদের মধ্যে? এতদিন এই বিষয়টি রহস্যে মোড়া থাকলেও, এত দিনে আসল কারণ প্রকাশ্যে এল। কেন ব্রেকআপ হয়েছিল শাহিদ-কারিনার ? কারণ জানলে চমকে যাবেন ।
মিস মালিনি ডট কমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শাহিদ-কারিনার এই ব্রেকআপের পিছনে নাকি ভূমিকা ছিল কারিনার মা ববিতা এবং সইফ আলি খানের! জানা গিয়েছে, যখন কারিনা কাপুর ‘হায়দর’ অভিনেতা শাহিদ কাপুরের প্রেমে পাগল, তখন নাকি মা ববিতা বিষয়টি একেবারেই পছন্দ করছিলেন না।
তাছাড়া, কারিনা কাপুর বরাবরই সইফ আলি খানের প্রতি গোপন একটা ভালোলাগা প্রকাশ করে এসেছেন। সেই সময়ে ‘তশান’ ছবিতে কারিনার বিপরীতে ছিলেন সইফ আলি খান। শ্যুটিংয়ের কারণে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সময়ও কাটাতেন।
সেই নিয়ে আবার মনক্ষুন্ন হন শাহিদ। তিনি ক্রমশ ‘কিশমত কানেকশন’-এর সহ-অভিনেত্রী বিদ্যা বালানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। যদিও বিদ্যার সঙ্গে শাহিদের ঘোরাফেরা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাননি কারিনা। কিন্তু শাহিদ-কারিনার এই ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্যে বারবার চলে আসেন ববিতা। এরপরই এই সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কারিনা।
যাই হোক, দুজনেই এখন নিজের নিজের ব্যক্তিগত জীবনে খুব সুখী। আশ্চর্যজনকভাবে, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর একই ইন্ডাস্ট্রিতে থেকেও একে অপরের সঙ্গে কখনও কথা বলেননি শাহিদ-কারিনা। পাশাপাশি শাহিদ কাপুরের সঙ্গে আবার সইফ আলি খানের সম্পর্ক খুবই ভালো। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কিছুদিন আগে ছবিও করলেন। --জি নিউজ
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/এস