এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নবম জাতীয় বেতন স্কেল প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ পে স্কেল আগামী ২০২৬ সালের শুরুতে (জানুয়ারি, মার্চ বা এপ্রিল) গেজেট আকারে প্রকাশ এবং কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, পে কমিশন নতুন বেতন কাঠামোর কাজ জোরেশোরে করছে। এই বেতন কাঠামোর মাধ্যমে শুধু বেতন বৃদ্ধি নয়, গ্রেডভিত্তিক বৈষম্য কমিয়ে বেতন অনুপাত পুনর্গঠনসহ সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা উন্নত করা হবে।
নতুন কাঠামোতে মূল বেতনের পাশাপাশি চিকিৎসা, শিক্ষা, পদোন্নতি ও বিভিন্ন ভাতায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। তবে নবম পে স্কেল কার্যকর হলে কিছু বিদ্যমান সুবিধা বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে ‘সাকুল্য বেতন’ বা ‘পারিশ্রমিক’ নামে নতুন একটি বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে আর্থিক ও অনার্থিক অতিরিক্ত কোনো সুবিধা থাকবে না।
পে কমিশনের মতে, সরকারি সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রদেয় সম্মানী বা অতিরিক্ত ভাতা অযৌক্তিক, কারণ এসব দায়িত্ব কর্মপরিধির অংশ। প্রতিবছর এই খাতে সরকারের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়, যা নতুন কাঠামোয় বাতিলের প্রস্তাব রয়েছে।
জাতীয় বেতন কমিশন (পে কমিশন) ২০২৫-এর সদস্যসচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিক জানান, ১৩টি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সচিবালয়ে ভিন্ন সময়ে এই বৈঠকে নতুন পে স্কেলের চূড়ান্তকরণ নিয়ে আলোচনা হবে।