বিনোদন ডেস্ক : শাকিব খানসহ ‘রাজনীতি’ সিনেমার প্রযোজকের নামে হবিগঞ্জের অটোরিক্সা চালক ইজাজুল মিয়ার দায় করা মামলাটি মিটমাটে আসামী পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এম এ মজিদ। সিনেমার প্রযোজক বাদীর আইনজীবীকে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
বাদীর আইনজীবী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা চলছে। ‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক আশফাক আহমেদের পক্ষে তার আইনজীবী শাহনেওয়াজ ফোন দিয়েছিলেন। তবে বাদী নিজে যেভাবে চাইবেন সেভাবেই মামলা তার পথে চলবে।
ওই অটোরিক্সা চালকের ফোন নম্বর ‘রাজনীতি’ সিনেমায় ব্যবহারের ফলে অসংখ্য ফোনে অস্থির হয়ে হবিগঞ্জের আদালতে মামলা করেন ইজাজুল মিয়া।
মামলাটি আদালতের প্রক্রিয়ায় চললে কী ফলাফল আসতে পারে জানতে চাইলে বাদী বলেন, এটি আদালতের বিচার্য বিষয়। তবে আমার বিশ্বাস একটি উদাহরণ তৈরি হবে অনুমতি ছাড়া কোন নম্বর অন্য কোথাও ব্যবহারের বিরুদ্ধে। আশা করি, মামলা চললে বাদী ন্যায় বিচার পাবেন। এবং প্রতারণার অভিযোগে শাস্তির বিধান কমপক্ষে ৭ বছর।
মামলার বিবাদী প্রযোজক আশফাক আহমেদ বলেন, আমি আসলে বিষয়টি জানতে ফোন দিয়েছি। যা আমার প্রতিষ্ঠানকে জানাব। তারপর মামলার কাগজ হাতে পেলে মিটমাট হবে নাকি আইনী রাস্তায় নিষ্পত্তি হবে সেটি ঠিক করবে প্রতিষ্ঠান।
‘রাজনীতি’ সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস বলেন, এখনও মামলার কোন কাগজপত্র হাতে পাইনি, গণমাধ্যম সুত্রে জেনেছি। কাগজ পেলে আইনজীবীর পরামর্শেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। মিটমাট নাকি মামলা চলবে সেটি তখনকার বিষয়।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মুক্তি পাওয়া আলোচিত শাকিব খান-অপু বিশ্বাস জুটির ‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্রে অটোরিক্সা চালক ইজাজুল মিয়ার ফোন নম্বরটি ব্যবহার করা হয়েছে। চলচ্চিত্রের ২৬ মিনিট ১২ সেকেণ্ডের সময় ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাসকে নিজের মোবাইল নাম্বার দেন শাকিব খান। যা ছিলো ইজাজুলের নাম্বার। এরপরে গত ৭ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই বাদীর ফোনে ৪৩২ বার কল এসেছে। যারা সবাই শাকিবকে খুঁজেছে। শাকিব খানকে না পেয়ে বাদীকে প্রতারক বলেছে অনেকে, হুমকিও দিয়েছে। ইজাজুল নিজেকে শাকিব খান নয় বলার পরও খুলনা থেকে এক গৃহকর্মী চলে আসে ইজাজুলের বানিয়াচংয়ের বাড়িতে। তা নিয়ে বাবা-মা ও স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় ইজাজুলের। তার সংসার ভাঙারও উপক্রম হয়। ফোনের যন্ত্রণায় অটোরিকশা চালাতে সমস্যা হওয়ায় মালিক তার গাড়ি ফিরিয়ে নিয়েছে।
ইজাজুলের ফোনের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে বাদীর আইনজীবী বলেন, বাদী অতিষ্ঠ হয়ে ফোনটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরেকটি নম্বর ব্যবহার করছেন।
হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহানের আদালতে ইজাজুল মিয়ায় দায়ের করা ৪২০ এবং ৫০০ ধারায় প্রতারণা এবং মানহানি মামলাটির শুনানি ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস