বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটছে- এমন গুজব বেশ কিছুদিন ধরেই মিডিয়ায় ভাসছে। অপু সন্তান নিয়ে টেলিভিশনে হাজির হওয়ার পর শাকিব বেশ সমালোচিত হন। এরপর একদিনের জন্যও এক ছাদের নিচে থাকেননি তারা। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়টি শুধু কাগজপত্রেই টিকে আছে।
বিচ্ছেদের বিষয়টি শুধু গুজবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিচ্ছেদ নিয়ে শাকিব খানের নীরবতা এর সত্যতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে শতগুণ।
কেন এই বিচ্ছেদ? এর নেপথ্যের কারণ কী? বের হয়ে এসেছে অপুর প্রতি শাকিবের বেশ কিছু অভিযোগ ও অভিমান। কারণ গুলোর বিস্তারিত পাঠকদের জন্য…
বিয়েপরবর্তী আট বছর ধরে অপুর কথামতোই তার সঙ্গে বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন শাকিব। অন্য নায়িকাদের সঙ্গে কখনোই অভিনয় করতে দেননি অপু। সংসারে অশান্তি হবে ভেবে শাকিব খানও অপুর সঙ্গে জুটি বেঁধে ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু সন্তান গর্ভধারণের পর শাকিব যখন অন্য নায়িকার সঙ্গে অভিনয় করছেন তখন অপু তাতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে শুরু হয় অশান্তি।
কোনোকিছু না জানিয়ে হুট করেই সবকিছু মিডিয়ায় ফাঁস করে দেয়া।
গণমাধ্যমে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাকিব ও তার পরিবার নিয়ে কটূক্তি করা।
অন্য নায়িকাদের সঙ্গে জড়িয়ে শাকিব খানকে অপমানসূচক কথাবার্তা বলা।
শাকিব খানের অর্থে ছেলের জন্মদিন পালিত হলেও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে বাবা হিসেবে শাকিব খানের ছবি ব্যবহার না করা।
গত কয়েকমাসে চলচ্চিত্রের যারা শাকিব খানকে বহিষ্কার কিংবা বয়কট করেছেন তাদের সঙ্গে অপুর অবাধ মেলামেশা এবং তাদের সঙ্গে কাজ করা।
শাকিবকে না জানিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়া এবং শাকিকে হেয় করে কথা বলা।
সন্তানের দেখভাল সঠিকভাবে না করা (শাকিবের অভিযোগ, অপু বেশিরভাগ সময় সন্তান জয়কে বাসায় রেখে বাইরে থাকেন। এসময় জয়কে দেখাশোনা করেন কাজের মানুষ)।
সংসারের খরচ দেখিয়ে অনিয়ন্ত্রিত অর্থ দাবি করা (শাকিবের দাবি, সন্তানের পোশাক-আশাক খাবার-দাবার, খেলনা ছাড়াও প্রতি মাসে অপুর ব্যক্তিগত খরচের জন্য এক লাখ টাকা করে তার একাউন্টে জমা দেন তিনি)।
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস