ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিশ্ব কাপানো ১০ সেলিব্রেটি
বিনোদন ডেস্ক : ফিলিস্তিনিতে নিরাপরাধ নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করায় আমেরিকা ও ইসরায়েলের ইতিবাচক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। গাজায় ইসরায়েলী হামলার যখন সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র তখন বিশ্বের বিখ্যাত ১০ সেলিব্রেটি ফিলিস্তিনদের সমস্যা সমাধানে তাদের সমর্থনকে কাজে লাগাচ্ছেন।
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো : রোনাল্ডো যে আগে থেকেই ফিলিস্তিনপন্থী তা কখনও আড়াল করেননি। বরং পর্তুগীজের এ বিখ্যাত ফুটবল তারকা অতীতে বেশ কয়েকবার ফিলিস্তিনের পক্ষে তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী এ তারকা তার গোল্ডেন বুট রিয়াল মাদ্রিদ ফাউন্ডেশনকে দেন। ফিলিস্তিনে স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য এ গোল্ডেন বুট নিলামে তোলা হয়।
জন স্টুওয়ার্ট : এটি ঢেকে রাখার বিষয় নয় যে, অনেক মুসলিম জন স্টুওয়ার্টের ভক্ত। ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে একটি টক শোয়ের উপস্থাপক তিনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি এখনও কাজ করে যাচ্ছেন।
জাইন মালিক : ব্রিটিশ গায়ক ও গান রচিয়তা জাইন মালিক ফ্রি প্যালেস্টাইন আন্দোলনের সমর্থক। তিনি ব্রিটেনের ব্রাডফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন।
পেনিলোপ ক্রুজ : গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসন বন্ধে স্বাক্ষর সংগ্রহের একটি আবেদনপত্র ছাড়া হয় যাতে ইসরায়েলী আগ্রাসন বন্ধ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) এ বিসয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানানো হয়। সেই আবেদনে স্বাক্ষর করার কারণে বহুবার ব্লাকমেইলের শিকার হন স্পেনীয় অভিনেত্রী ক্রুজ।
ক্রজ বলেন, ‘গাজাতে আতঙ্ক বিরাজ করছে অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছুই করছে না’। তার এই মন্তব্যের কারণে হলিউডের অধিকাংশ পরিচালকরা তাকে বয়কট করেন এবং তাকে আর কোনো কাজে না নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।’ এমনকি স্পেনের পত্রিকায় তাকে এন্টি-সেমিটিক বলে অভিহিত করা হয়।
এরিক ক্যান্টোনা : ফিলিস্তিনি ফুটবলার মাহমুদ সারসাক যখন ইসরায়েলী আদালতে অনশন ধর্মঘট করছিলেন তখন তার মুক্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকাদের যে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়, তাতে ইডেন হজরত, ফ্রেড্রিক কানোতি, আবু দিয়াবি ও দিদিয়ের দ্রগবার সঙ্গে স্বাক্ষর করেন ক্যান্টোনা। এছাড়া ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত এমন মন্তব্য করে উয়েফা প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠিও লেখেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের এ তারকা।
ক্লদপ্লে : ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নেওয়ায় অনেকবারই খবরের শিরোনাম হয়েছে ব্রিটেনের ব্যান্ড দল ক্লদপ্লে। ২০১১ সালে ক্লদপ্লে তাদের ফেসবুক পেজে একটি মিউজিক ভিডিও আপলোড করে যাতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা দাবি করা হয়। ইসরায়েলী মিডিয়ায় এর ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। এমনকি এন্টি-ক্লদপ্লে ফেসবুক পেজ ওপেন করা হয়।
লুপে ফিয়াস্কো : ওয়াসালু মোহাম্মাদ জাকো বা লুপে ফিয়াস্কো আমেরিকার হিপ-হপ (কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের জনপ্রিয় গান) তারকা। তিনি তার অনেক গানে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়েছেন। একটি কনসার্ট করার সময় তিনি ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করেন। এমনকি ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়ায় বারাক ওবামাকে ভোট না দেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেন তিনি।
হুপি গোল্ডবার্গ : মার্কিন অভিনেত্রী, কমেডিয়ান, লেখক, উপস্থাপক ও সামাজিক সমালোচক গোল্ডবার্গ ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয় নিয়ে সোচ্চার। তিনি টুইটারে বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার মন্তব্য করেছেন।
সেলেনা গোমেজ : ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই গাজার দৃশ্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে গোমেজ লেখেন, ‘গাজার জন্য শুভ কামনাই মানবতা’। এরপর সেলিব্রেটি নিউজ সাইটগুলোতে তাকে হামাসপন্থী হিসেবে মন্তব্য করা হয়। কিন্তু তারপরও তিনি তার মন্তব্য সরাননি।
রব স্নাইডার : চলচ্চিত্র তারকা ও কমেডিয়ান রব স্নাইডার ২০১৪ সালের ২০ জুলাই টুইটারে লেখেন, ‘কুৎসিত অমানবিকতার কারণে আজকের দিনটি গাজার ভয়াবহতম দিন।’ গাজায় ইসরায়েলী হামলায় শিশু নিহতের ঘটনায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
১২ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ