বিনোদন ডেস্ক : নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুর আগের রাতে সিলেট থেকে ঢাকা আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার মামা আলমগীর কুমকুম। তিনি দু’জনের (সালমান শাহ ও সামিরা) সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে তার মা নীলা চৌধুরী ওই সময়ে কুমকুমকে ঢাকা আসতে বারণ করে বলেছিলেন, ‘অনেক বুঝিয়েছি, সামিরার সঙ্গে আর সংসার করা সম্ভব হবে না।’
সালমান শাহ মৃত্যুর মামলার সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে গিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরনবীর আদালতকে এসব কথা জানান আলমগীর কুমকুম। সোমবার আদালতে মামলাটির পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য করা হয়।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজ বাসা থেকে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ওরফে সালমান শাহ’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর ঘটনায় বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। পরে তার আবেদনের ভিত্তিতে হত্যার অভিযোগও তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। সিআইডি ও বিচার বিভাগীয় তদন্তে সালমানের মৃত্যু আত্মহত্যা বলে উঠে আসে।
তবে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করে তার দাবি করা হয় সালমান শাহ’র মৃত্যুর সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদসহ ১১ জন জড়িত। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছেন পিবিআইর ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস