শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:৫৫:১৭

ঢাকায় পা রাখলেই নায়ক দেবের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ঘোষণা

ঢাকায় পা রাখলেই নায়ক দেবের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ঘোষণা

বিনোদন ডেস্ক : দেব ঢাকায় এলেই তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার ঘোষাণা দিয়েছে মুক্তির অপেক্ষায় ঢাকাই ছবি ‘চল পালাই’র কলাকুশলী ও শিল্পীরা।দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘চল পালাই’ ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। ত্রিভুজ প্রেমের ছবিটিতে অভিনয় করেছেন শাহরিয়াজ, শিপন ও তমা মির্জা।

একই দিনে কলকাতার চলচ্চিত্র ‘ককপিট’ বাংলাদেশে মুক্তির ঘোষণা দিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন দেব ও কোয়েল। ছবির প্রচারণার জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর দেবের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

‘চল পালাই’ ছবির পরিচালক ও কলাকুশলীরা মনে করেছেন, ‘ককপিট’ ছবিটি যদি দেশে মুক্তি পায় তাহলে তাঁদের ‘চল পালাই’ ছবিটি বাধাগ্রস্ত হবে।

দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সবসময় কলকাতার চলচ্চিত্র বয়কট করে যাচ্ছে। আমাদের দেশের ছবি দর্শক হলে গিয়ে দেখতে পছন্দ করেন। তাই আমাদের দেশের চলচ্চিত্র বাঁচাতে দেব ঢাকায় এলে তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করব।’

নায়ক শাহরিয়াজ বলেন, ‘আমরা যখন বাংলাদেশের শিল্পী তখন দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরার কাজটিও আমাদের করতে হবে। কলকাতার ছবি, তাদের ভাষা, তাদের সংস্কৃতি একেবারে আলাদা। সব চেয়ে বড় কথা, আমাদের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। আমি মনে করি, আমাদের সংস্কৃতি নষ্ট করার জন্য এবং কলকাতার ছবির বাজার তৈরি করার জন্য আমাদের দেশের কিছু মানুষ কাজ করছে। কিন্তু তাঁরা সফল হতে পারবে না। কারণ আমাদের দেশের মানুষ আমাদের ছবিই দেখতে চায়। এটা যুগ যুগ ধরে প্রমাণিত।’

শাহরিয়াজ আরো বলেন, ‘আমরা এর প্রতিবাদ করছি। দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করব। আগে দেশের চলচ্চিত্র, তারপর অন্য কিছু। আমাদের দেশে প্রতি শুক্রবার ছবি মুক্তি পায়। কিন্তু এর মধ্যে অনেক শুক্রবার আছে যখন কোনো ছবি থাকে না মুক্তি দেওয়ার মতো। তখন কেন এই ছবিগুলো মুক্তি পাচ্ছে না। আমাদের দেশের কোনো ভালো একটা ছবি যখন মুক্তি পাচ্ছে তখনই কেন একটা কলকাতার ছবি মুক্তি পেতে হবে।’

এ ব্যাপারে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘এক সময় আমাদের দেশে চার, পাঁচটি ছবি একইদিনে মুক্তি পেত। তাহলে কলকাতার একটি ছবি মুক্তি পেলে সমস্যা কী! এ ছাড়া বাংলাদেশে এখন ৩০০ সিনেমা হল আছে। সব সিনেমা হলে তো আর ‘চল পালাই’ ছবিটি মুক্তি পাবে না। খুব বেশি সিনেমা হলে ‘ককপিট’ ছবিটি মুক্তি দেব না আমরা। কিছু সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাবে।’

ভালো সিনেমা হলগুলো কি পাবে ‘চল পালাই’? এমন প্রশ্নের উত্তরে খোকন বলেন, ‘আসলে সিনেমা হল কোন ছবি চালাবে, সেটা ঐ সিনেমা হলের মালিক নির্ধারণ করেন। এখানে আমরা তো কিছু না। আমরা এখানে ব্যবসা করতে এসেছি। নিজেদের মতো ব্যবসা করছি। সিনেমা হল-মালিকদের সাথে আমাদের ব্যবসা হচ্ছে প্রজেক্টরের। আমরা তাঁদের প্রজেক্টর দিয়েছি এবং বিনিময়ে তাঁদের কাছ থেকে আমরা পয়সা পাই। তাঁরা কোন ছবি চালাবেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।’

উল্লেখ্য, সাফটা চুক্তিতে বাংলাদেশ ও কলকাতার মধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময় হচ্ছে। ২০১৬ সালে সাফটা কার্যকর হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়েছে কলকাতার ছবি ‘ককপিট’ বাংলাদেশে মুক্তি পাবে। আর বাংলাদেশের ‘ধেৎতেরিকি’ ছবিটি মুক্তি পাবে কলকাতায়।
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে