বিনোদন ডেস্ক : প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের মেজো সন্তান ও রক ব্যান্ড 'ওন্ড'-এর ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও শব্দ প্রকৌশলী এ কে রাতুলকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে তার বাবার কবরেই। সোমবার সকালে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
গত রোববার বিকেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর খবর সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে। রাতুলের বড় ভাই এ কে সামী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি মাত্রই ছোট ভাইটাকে সমাহিত করে এলাম।’
আরেক ভাই এ কে রাহুল ফেসবুকে রাতুলের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার ভাইটার বুকে আমার হাত।’
রাতুলের মৃত্যুতে ফেসবুকে ঢাকার ব্যান্ড ও শিল্পীদের অনেকেই শোক জানিয়েছেন। ওয়ারফেইজ লিখেছে, ‘রাতুলের প্রয়াণের খবরে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। ওয়ারফেজ পরিবার রাতুলের পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছে এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গন এক মূল্যবান রত্ন হারাল।’
আর্টসেল ব্যান্ড লিখেছে, ‘ওর চলে যাওয়ায় আমাদের বাংলাদেশের সংগীতজগতে যে ক্ষতি হয়ে গেল, তা অপূরণীয়। এমন মৃত্যু কারও কাম্য নয়। একসঙ্গে ওর স্টুডিওতে আমাদের গানের কাজ করা, বিভিন্ন কনসার্টে দেখা হওয়া, কত স্মৃতি.... আজীবন এগুলো থেকে যাবে আমাদের আত্মার অন্তস্তল।’
শিরোনামহীন লিখেছে, ‘আল্লাহ তার জীবনের সকল গুনাহ মাফ করুক এবং তার পরিবারকে শক্তি দিক, যাতে তারা এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে।’
রাতুলের সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে গিটারিস্ট অনি হাসান লিখেছেন, ‘রাতুল, এই ট্যুরে তোমার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল, তখনই তোমার কাজ আর নিষ্ঠার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। আমরা একসাথে জিমে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলাম, কিন্তু কে জানত, নিয়তির ভিন্ন ইচ্ছা ছিল।’
ব্যান্ডশিল্পী রায়েফ আল হাসান রাফা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তোমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরিচয় ছিল। এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, তুমি আর নেই।’
শ্রোতাদের মধ্যে ওন্ড ব্যান্ডের আলাদা পরিচিতি রয়েছে। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ ও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ প্রকাশিত হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে ইপি ‘এইটিন’।
রাতুল অন্য ব্যান্ডেও কাজ করেন। তিনি অর্থহীনের ‘ফিনিক্সের ডায়েরি-১ ’-এর সাউন্ডের কাজ করেছেন। জসীমের তিন সন্তানের মধ্যে রাতুল মেজ। বড় ছেলে এ কে সামী ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ড্রামার, ছোট ছেলে এ কে রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের সঙ্গে ছিলেন।