শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭, ০৮:৫৭:৪২

শিগগিরই সুখবরটি শুনতে পাবেন : কণ্ঠশিল্পী কনা

শিগগিরই সুখবরটি শুনতে পাবেন : কণ্ঠশিল্পী কনা

ফয়সাল রাব্বিকীন : দেশীয় সংগীতের জনপ্রিয় মুখ দিলশাদ নাহার কনা। প্রায় দেড় যুগ ধরে সংগীতের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই নিজেকে একজন ভালো গায়িকা হিসেবে প্রমাণ করেছিলেন। আর তারপর থেকেই কঠিন সাধনা করে  গেছেন। যার ফলও পেয়েছেন তিনি। বেশ কিছু জনপ্রিয় গানতো উপহার দিয়েছেনই।

পাশাপাশি সিনেমার গানের অন্যতম নির্ভরযোগ্য শিল্পীতে পরিণত হয়েছেন। অ্যালবাম ও সিনেমার গানের বাইরে বিজ্ঞাপনে কন্ঠ দিয়ে থাকেন তিনি। পাশাপাশি জিঙ্গেল গাওয়াতো রয়েছেই। তবে স্টেজেই সব চেয়ে বেশি ব্যস্ত কনা। দেশ-বিদেশের বড় শোগুলোতে পারফর্ম করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এ শিল্পীর। সব মিলিয়ে কেমন চলছে বর্তমান দিনকাল?

কনা উত্তরে বলেন, বেশ ভালো। তবে সদ্য বারী সিদ্দিকী ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তারপর  থেকে মন বেশ খারাপ। কারণ আমাদের দেশে লোকসংগীতের অন্যতম শিল্পী ছিলেন তিনি। তার মতো লিজেন্ডারি শিল্পী চলে যাওয়ায় অনেক বড় ক্ষতি হয়ে  গেলো। এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়। আপনার বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?

কনা বলেন, গান নিয়ে নিয়মিত ব্যস্ততা চলছে। কোনো দিন সিনেমার গান নয়তো অডিও অ্যালবামের গানে কন্ঠ দিচ্ছি। আর স্টেজ শো নিয়েও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। কারণ এখন অনেক শো এর আয়োজন হচ্ছে। মধ্যেতো স্টেজ শো কম ছিলো বিভিন্ন কারণে। অ্যালবাম কি করছেন?

কনা বলেন, একটি ইপি অ্যালবাম করছি। এরই মধ্যে এর কাজ শুরু হয়েছে। চলতি সময়ের তরুণ গীতিকার ও সুরকাররা এর সুর ও সংগীত করছে। আমার মনে হয় ভালো কিছু হবে। এর বাইরে আমি নিজের উদ্যোগেও কিছু গান রেডি করে রেখেছি। এগুলো নির্দিষ্ট সময় পর পর ভিডিও আকারে প্রকাশ করবো।

সিনেমার গান কেমন চলছে? কনা বলেন, খুব ভালো। সম্প্রতি আমার গাওয়া ‘দিল দিল দিল’ গানটি দেড় কোটির বেশি মানুষ ইউটিউবে উপভোগ করেছে। আর ‘ও ডিজে’ গানটিও এক কোটির ঘর অতিক্রম করেছে। কনা আরও জানান, সিনেমার গানে কন্ঠ দেবার ক্ষেত্রে তিনি সবসময়ই একটু বেশি চুজি। গানের কথা, সুর এবং সর্বোপরি পুরো সংগীতায়োজনটা হওয়া চাই মনেরমতো। এমন হলেই প্লে-ব্যাকে দেখা মিলে তার।

এবার উত্তম আকাশ পরিচালিত ‘চিটাগাইঙ্গা পোলা নোয়াখাইল্যা মাইয়া’ চলচ্চিত্রের জন্য একটি গানে কন্ঠ দিলেন তিনি। এই গানের কথা নোয়াখালীর ভাষায়। হিসেব মতে, এবারই প্রথম আঞ্চলিক ভাষায় গান গাইলেন কনা। তাও আবার নোয়াখালীর ভাষায়। এই গানে তার সহশিল্পী মোজাহেদ হাসান। গানের কথা লিখেছেন এবং সুর করেছেন মোজাহেদ হাসান। গত বুধবার সন্ধ্যায় এটির রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে।

গানের কথা হচ্ছে ,‘ওরে ও সুন্দরী হডে তোঁয়ার বাড়ি, বেহা ঠোডে আঁসি দিয়া মন লইলাদে হারি, ওরে সুন্দর হোলা আঙ্গো বাঈ নোয়াখালী , বেয়া চোখের ইশারা দি মন যে কাড়ি লইলি’। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। এতে কণ্ঠ দেয়া প্রসঙ্গে কনা বলেন, নোয়াখালীর ভাষায় প্রথম গাইলাম, সবমিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আমার গাওয়াটা আমি দারুণ উপভোগ করেছি। কনা ও মোজাহেদের গাওয়া এই গানটিতে রূপালী পর্দায় ঠোঁট মেলাবেন শাকিব খান ও বুবলী।

দিকে কনা সম্প্রতি উত্তম আকাশের ‘আমি নেতা হবো’, বদিউল আলম খোকনের ‘আমার মা আমার বেহেস্ত’, শফিক হাসানের ‘বাহাদুরী’ এবং রাশেদ রাহার ‘নোলক’ চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন। জিঙ্গেল ও বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দেওয়া কি চলছে? কনা বলেন, এগুলো আমার খুব প্রিয় কাজ। বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে আমি প্রচুর কণ্ঠ দিয়েছি। এখনও দিচ্ছি।

একেক সময় দেখি টানা কেবল আমার জিঙ্গেল গাওয়া বিজ্ঞাপন টিভিতে চলছে। এটা খুব ভালো লাগার ব্যাপার। আর বিজ্ঞাপনেও কন্ঠ দিচ্ছি নিয়মিত। এটাও ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা। বিজ্ঞাপনে নিজের কন্ঠ শুনতে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। এবার ভিন্ন প্রসঙ্গ। কনা বিয়ে করছেন কবে জানতে চাইলে বলেন, আসলে সময় হলেই বিয়ে করবো। কিন্তু যে ব্যস্ততা যাচ্ছে সময়ইতো পাই না! তবে খুব শিগগিরই সুখবরটি শুনতে পাবেন। -এমজমিন

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে