বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:২২:১২

এইমাত্র পাওয়া খবর: শাকিব-অপুকে তলব, সংসারে ভাঙন ঠেকাতে সালিশি বৈঠক ডাকছে ডিএনসিসি

এইমাত্র পাওয়া খবর: শাকিব-অপুকে তলব, সংসারে ভাঙন ঠেকাতে সালিশি বৈঠক ডাকছে ডিএনসিসি

বিনোদন ডেস্ক : তারকা দম্পত্তি শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ যখন টক অব দ্যা টাউন তখন পালে নতুন হাওয়া লাগালো ডিএনসিসি । গত সোমবার ৪ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় শাকিব-অপুর বিচ্ছেদের খবর। পরবর্তীতে জানা যায়, ৩০ নভেম্বর শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে ভারতে যাওয়ার সময় তালাক নোটিশে স্বাক্ষর করেন শাকিব খান। শাকিব তার স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাক নোটিশ পাঠালেও তা কার্যকর হতে তিন মাস সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই জুটির সংসারে ভাঙন ঠেকাতে সালিশি বৈঠক বসাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

সালিশি বৈঠকের জন্য খুব শিগগিরই শাকিব খানের কাছে বিয়ের কাবিননামা চেয়ে নোটিশ পাঠাবে ডিএনসিসি। নোটিশ হাতে পৌঁছানোর পর শাকিব-অপুসহ উভয়ের পরিবারের অভিভাকদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সালিশ বৈঠকে বসবে ডিএনসিসি কর্মকর্তারা। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, শাকিব খান রানা’র নামে সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর একটি তালাকনামার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শাকিব খানের স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, ‘নিম্ন সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আমি শাকিব খান এই নোটিশের মাধ্যমে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সব ধরনের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তালাক ঘোষণা করছি।’ এতে সাক্ষী করা হয়, মোহাম্মদ আলী ও আতাউর রহমান নামে দুজনকে। এতে মুসলিম শরিয়া আইনে ২০০৮ সালের ১৬ এপ্রিল উভয়ের মধ্যে বিয়ের কথা উল্লেখ করা হয়।

কম্পিউটার কম্পোজ করা তালাকনামায় লেখা হয়েছে, শাকিব খান রানা। বাবার নাম মো. আবদুর রব, মা রাজিয়া বেগম। বর্তমান ঠিকানা গুলশান-২ এর ১০০ নম্বর সড়কের একটি ফ্লাটে। স্থায়ী ঠিকানায় গ্রাম-রাগদি, থানা-মোকসেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ। অন্যদিকে অপু ইসলাম খান ওরফে অপু বিশ্বাসের বাবার নাম উপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মা শেফালী বিশ্বাস। বর্তমান ঠিকানা গুলশান-১, নিকেতন ২ নম্বর সড়কের একটি ফ্লাট। স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম-দক্ষিণ কাতনেরপাড়া, ননো গোপাল দেবনাথ লেন, বগুড়া সদর।

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৭ (১) ধারা অনুযায়ী, স্বামী তালাক দেওয়ার পরপরই তালাকের সংবাদটি একটি নোটিশের মাধ্যমে চেয়ারম্যান/মেয়রকে (যার এলাকায় স্ত্রী বসবাস করছেন) জানাতে হবে। সেই নোটিশের একটি কপি স্ত্রীকে পাঠাতে স্বামী বাধ্য থাকবেন। শাকিবও তাই করেছেন। তবে কাবিননামার ফটোকপি জমা দেননি।

ডিএনসিসি মেয়রের সহকারী সৈয়দ আবু সালেহ জানান, স্বামী কিংবা স্ত্রী, যে পক্ষই নগর ভবনে তালাকনামার নোটিশ পাঠাক; তার সঙ্গে কাবিননামার কপিও সংযুক্তি পাঠাতে হয়। কিন্তু শাকিব খানের তালাকনামার নোটিশের সঙ্গে কাবিননামার কপি পাঠানো হয়নি। এখন তার কাছ থেকে কাবিননামার কপিও চাওয়া হবে। কিংবা তিনি নিজেও পাঠাতে পারেন। এরপর নগর কর্তৃপক্ষই উভয়পক্ষকে ডেকে সংসার রক্ষার জন্য সালিশ বসাবে। সেখানে উভয়পক্ষের সম্মতি পেলে সংসার টেকানোও সম্ভব। তবে কোনোভাবেই তিন মাসের আগে তাদের তালাক কার্যকর হচ্ছে না।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে