বিনোদন ডেস্ক: বছরের শেষ ছবি মুক্তি পাবে ২৯ নভেম্বর। বদরুল আনাম সৌদের পরিচালনায় ‘গহীন বালুচর’ হবে এবছরে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষামান সর্বশেষ ছবি। আর এটি মুক্তি পেলে এবছর সর্বমোট ৬৩টি সিনেমা মুক্তি পাবে। ফলে গত বছরের তুলনাই সাতটি সিনেমা বেশী মুক্তি পাবে।
২০১৬ সালের তুলনাই এবছর বেশী ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করে চলচ্চিত্র শিল্প। তবে ৬৩ টি সিনেমার মধ্যে ১২ টি সিনেমা ব্যবসা সফল হয়েছে। দেশী ও যৌথ সিনেমার মধ্যে সব চেয়ে সাফল্যের শীর্ষস্থান লাভ করে দেশী প্রযোজনার ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ । এরপরই যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘নবাব’। এছাড়া সেরা ৫-এ ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও ‘নবাব’ এর পাশাপাশি ‘রাজনীতি’, ‘হালদা’ এবং ‘অন্তরজ্বালা’ রয়েছে।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ দীপঙ্গকর দীপনের প্রথম পরিচালনায় কপ থ্রিলার ঘরাণার প্রথম চলচ্চিত্র। ৬ অক্টোবর সারা দেশের ১২৭ টি সিনেমা হলে মুক্তি পায়। পুলিশ পরিবার এবং থ্রি হুইলার্সের প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি দেশ ও দেশের বাইরে আয় করেছে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা। শুভ, মাহি, সুমন অভিনিত চলচ্চিত্রটি প্রচারের ব্যবপকতার কারণে পুরো দেশ কাঁপিয়ে দেয়।
অন্যদিকে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ভারতের এসকে ফিল্মস প্রযোজিত ছবি নাবাব ১২০টি সিনেমা হলে মুক্তি পায়। শাকিব-শুভশ্রী অভিনিত ছবিটি ব্যবসায়িক সাফল্যের মুখ দেখে। দেশের বাইরে বিশেষ করে মধ্যপাচ্য এবং মালয়শিয়ায় বাংলাভাষীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে নাবাব। এটিও আয় করেছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
এছাড়া বছরে শেষদিকে মুক্তি পাওয়া ‘অন্তর জ্বালা’ বেশ সাফল্য লাভ করে। পরীমণির ও জায়েদ খান অভিনিত এ ছবি ১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। এটি মালেক আফসারীর পরিচালনায় ২৪তম চলচ্চিত্র। প্রযোজকের ভাষ্য অনুযায়ী রেকর্ড ১৭০ হলে মুক্তি পেয়েছিল চলচ্চিত্রটি। পরিবেশক সমিতির সুত্রমতে, ১২০টির মত সিনেমা হলে মুক্তি পায়। প্রযোজক এবং পরিচালকের ভাষ্যমতে ২ কোটি টাকা ব্যায়ের চলচ্চিত্রটি ইতিমধ্যে খরচ তুলে নিয়েছে।
তাছাড়া আরো যেসব ছবি ব্যবসা সফল হয় তার মধ্যে হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘স্বত্ত্বা’, ‘বস ২’, জাকির হেসেন রাজুর ‘প্রেমী ও প্রেমী’, শামীম আহমেদ রনির ‘ধ্যাততেরিকি’, জাহাঙ্গীর আলম সুমনের ‘সোনাবন্ধু’ এবং শাহাদাত হোসেনের ‘অহংকার’।
যে সব ছবি আলোচিত হয়েছে তার মধ্যে ফাখরুল আরেফিনের ‘ভুবন মাঝি’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’, অনিমেষ আইচের ‘ভয়ংকর সুন্দর’, আকরাম হোসেনের ‘খাঁচা’, শামীম আহমেদ রনির ‘রংবাজ’ এবং মনতাজুর রহমান আকবরের ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’।
এবছরের শেষের দিকে ঢাকার চলচ্চিত্র পাড়া এবং এ জগতেরা মানুষরা ছিল বেশ আলোচিত। কেননা এ বছর যৌথ প্রযোজনার বিরুদ্ধে আন্দোলন, শাকিব খানের ওপর শিল্পী সমিতির নির্বাচনে হামলা-মামলা, সেন্সর বোর্ড সদস্য ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের ওপর হামলা, শাকিব খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শাকিব-অপু বিচ্ছেদ, চলচ্চিত্রে হুমায়ুন আহমেদের চরিত্রায়ন নিয়ে ঝড় এবং বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী নায়ক রাজ রাজ্জাক বিদায়ে আবার সবাই ঐব্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জল সম্ভাবনা নিয়ে শেষ হতে চলেছে এ বছর।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস