বিনোদন ডেস্ক: বাবার মতোই শ্রদ্ধা করে এসেছেন তাঁকে। ছোটবেলায় কোলে চড়ে ঘুরেছেন কত। এই ছেলের জীবনের নানা ওঠাপড়ার ঘটনার সাক্ষী হয়ে থেকেছেন বাবা। কিন্তু এই ছেলে আর বাবা একান্তই পর্দার। কাল মুক্তি পেতে চলেছে বছরের শেষ ছবি- ‘ময়ূরাক্ষী’। পরিচালক অতনু ঘোষ। জীবননদীর উপান্তে এসে বাবা-ছেলের এক অন্যরকম আলোয় দেখা হওয়া, দেখা পাওয়া।
আর সেই থেকেই জীবনের কাছ থেকে নতুন করে শেখা সহজ পাঠ। এক কথায়, বাবা বিশ্বজিতের সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক একটা দীর্ঘ সময় জুড়ে সহজ ছিল না। নানা ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে, খুবই বন্ধুর পথে এগিয়েছে সম্পর্ক। এমনকী, প্রসেনজিতের প্রথম বিবাহ অনুষ্ঠানেও বিশ্বজিৎ উপস্থিত থাকেননি। দীর্ঘদিন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনজন। মায়ের সঙ্গে প্রসেনজিৎ ও পল্লবী।
জীবনে প্রথম বার বাবা-ছেলের সম্পর্ক নিয়ে এমন নিরীক্ষা প্রসেনজিতের। ‘সেই সময়ে মায়ের দিকটাই ভাবতাম। যা কিছু শুনেছিলাম, সবই মায়ের মুখ থেকে। অন্যদিকটা শোনার বা দেখার মতো বোধ তৈরি হয়নি তখনও,’ নিজের ডকুমেন্টারিতে বলেছেন প্রসেনজিৎ, ‘অনেক দিন পর নতুন আলোয় দেখেছিলাম বাবার দিকটা। পরে মনে হয়েছে, হয়তো বা পরিস্থিতির চাপ বাধ্য করেছিল তাঁকে। আরও মনে হয়েছিল, দোষ-গুণ সব মিলিয়েই তো মানুষ।’’
বাবাকে আবার ‘‘বাবা’’-র মতো, কাছের মানুষের মতো পাশে দাঁড়াতে লেগেছিল অনেকগুলো বছর। ‘ময়ূরাক্ষী’-র অন্তঃস্থলে সেই স্রোতই মানুষের মন ছুঁয়ে যাবে। মুক্তির আগেই ‘ময়ূরাক্ষী’ কালেকশনের গহনা রিলিজ করলেন প্রসেনজিৎ। নারীর নয়, পুরুষের মনের মতো গহনা।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি