সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:৪৭:০১

যে গান আঁকড়ে জেগে উঠছে ফ্রান্স

 যে গান আঁকড়ে জেগে উঠছে ফ্রান্স

বিনোদন ডেস্ক : যেন শান্তির 'পায়রা'। বহু দূর থেকে এসেছেন শান্তির বার্তা নিয়ে। ৪০০ মাইল দূর থেকে। সেই জার্মানি। বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলের বাইরে একমনে তিনি বাজিয়ে চলেছেন পিয়ানো। আর তাকে ঘিরে ভিড় করে রয়েছেন ফরাসিরা। পিয়ানোর সুরে তারা মুগ্ধ। কারো চোখে জল, স্বজন হারানোর ব্যথা। পিয়ানোয় আঙুলের ছোঁয়ায় বাজছে জননন্দিত বিখ্যাত গানের সুর 'ইমাজিন'। হ্যাঁ, রক্তাক্ত, শোকস্তব্ধ প্যারিসকে নতুন ভোর দেখাচ্ছে লেননের 'ইমাজিন'। দীর্ঘকায়, ছিপছিপে চেহারার যুবকটির নাম ডেভিড মার্তেলো। রোববার তার আগমন হয়েছে প্যারিসে। সুদূর জার্মানি থেকে। সঙ্গে শুধু একটি পিয়ানো। প্রথমে গাড়ি চালিয়ে ফ্রান্সে। এরপর সাইকেল চালিয়ে পিয়ানোটি নিয়ে সোজা বাটাক্লাঁ। এ থিয়েটার হলেও শুক্রবার রাতে নৃশংস হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। এলোপাতাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় ৮৯ জনের। বাটাক্লাঁর বাইরে নিজের পিয়ানোটি ক্রমাগত বাজিয়ে চলেছেন মার্তেলো। তবে পিয়ানোবাদক হিসেবে নিজের নাম তিনি দিয়েছেন ক্ল্যাভিয়েরকুনত্‍‌স। জার্মান ভাষায় যার মানে পিয়ানো আর্ট। মার্তেলো জানিয়েছেন, তিনি জার্মানির কুনত্‍‌সান্তজ পাবে পিয়ানো বাজান। কেন এসেছেন মার্তোলো? মার্তেলোর কথায়, আমি সেদিন টিভিতে জার্মানি বনাম ফ্রান্সের ফুটবল ম্যাচ দেখছিলাম। তখনই স্টেডিয়ামে হামলার খবরটা পাই। এরপরই ঠিক করি, আমাকে কিছু একটা করতে হবে। আমি চেয়েছিলাম ফ্রান্সবাসীকে নতুন আশার বার্তা দিতে। তাই চলে এলাম। শুধু ব্লাটাক্লাঁতেই নয়, যেকোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরেই শান্তি ও আশার বার্তা নিয়ে পৌঁছে যান মার্তেলো। শার্লি এবদোর অফিসে হামলার পরও তিনি গিয়ে পিয়ানো বাজিয়ে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েছিলেন। মার্তেলো বলেছেন, আমি মৃত মানুষগুলোকে ফিরিয়ে আনতে পারব না। কিন্তু প্রিয়জনের শোকে স্তব্ধ মানুষগুলোকে উজ্জীবিত করতে পারব মিউজিকের সাহায্যে। মানুষ উজ্জীবিত হলেই সবকিছু করতে পারে। সব দুঃখ ভুলতে পারে। সেই কারণেই আমি লেননের ইমাজিন বাজাচ্ছি। সূত্র : এই সময় ১৬ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে