স্পোর্টস ডেস্ক: ‘রেকর্ড হয় ভাঙার জন্য’ প্রচলিত এই কথাটি মেনেই সামনে এগোন ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাইজুল ইসলাম এমনই এক রেকর্ড গড়েছেন তা কেউ কখনও ভাঙতে চাইবে না। তাইজুল নিজেও চাননি রেকর্ডটা হোক। শেষ পর্যন্ত হয়ে যাওয়ায় নিজেকেই দুষছেন এ স্পিনার।
‘এটা ভাল রেকর্ড হিসেবে দেখছি না। আরও ভাল বল করলে রেকর্ডের কাছে যাওয়া লাগত না। হয়তবা ভাল বলটা অনেক বেশি করতে পারিনি তাই রেকর্ডটা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ৬৭.৩ ওভার বোলিং করে তাইজুল দিয়েছেন ২১৯ রান। তাতেই বাংলাদেশের পক্ষে কোন ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ওভার করা ও বেশি রান দেয়ার রেকর্ড সঙ্গী হয়েছে তার। এর আগে সবচেয়ে বেশি ওভার বোলিং করার রেকর্ডটি ছিল সাকিবের। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে বিপক্ষে মিরপুরে ৬৬ ওভার হাত ঘোরান সাকিব। আর রান দেয়ায় মোহাম্মদ রফিক ও সোহাগ গাজী ১৮১ করে বিলিয়ে ছিলেন সবার উপরে। তাদের ছাড়িয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তাইজুল।
ওভার-রান দুই দিক থেকে রেকর্ডের মালিক হলেও শ্রীলঙ্কার ইনিংসে বাংলাদেশের সফল বোলারটির নামও তাইজুল। নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাতে অবশ্য খুব খুশি হতে পারছেন না এই স্পিনার। শ্রীলঙ্কা যে ৭১৩ রান করে প্রথম ইনিংসেই লিড নিয়েছে ২০০ রানের। তাইজুলে মনে করেন, একশ রান বেশি করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। ৫৫০-৬০০ এর মধ্যে আটকে রাখতে পারলে ভাল হত।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ১৯৯.৩ ওভার হাত ঘোরায় বাংলাদেশ। এক ইনিংসে এত ওভার কখনই করেনি টাইগাররা। উইকেটে ৮৩৩ মিনিট কাটায় ফিল্ডাররা। বাংলাদেশ বল ছুঁড়েছে ১১৯৯টি। এতটা পরিশ্রম অতীতে কখনই করতে হয়নি। সর্বোচ্চ ওভার বোলিংয়ের বিস্মৃতি ছিল ২০১৪ সালে, এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই মিরপুরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ৭৩০ রানের সংগ্রহ গড়ার পথে ১৮৭.৫ ওভার খেলেছিল লঙ্কানরা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এতটা পরিশ্রমের পর ঠিক আছেন তো ক্রিকেটাররা? তাইজুল জানালেন, ‘টানা তিনদিন ফিল্ডিং করলে সবার মধ্যেই জড়তা আসে। এটা খুব কঠিনও। তারপরও আমাদের সবাই শক্ত আছে। কেউ হতাশ হয়ে যায়নি।’
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি