বিনোদন ডেস্ক: একদিকে বলিউড অভিনেতা সালমান খান। অন্যদিকে পাঞ্জাবের বাদল বংশ। এহেন ওজনদার নামের ক্রেতা হাজির দোরগোড়ায়। দাম উঠেছিল দুই কোটি টাকা। কিন্তু তাও ৬ বছরের সাকাবকে হাতছাড়া করবেন না সিরাজখান পাঠান। সুরাতের এই বাসিন্দা জানিয়েছেন তিনি কোনওমতেই বিক্রি করবেন না তাঁর আদরের ঘোড়াকে।
দুর্লভ প্রজাতির ঘোড়া সাকাব। এই প্রজাতির ঘোড়া এই একটিই আছে ভারতে। বিশ্বে আছে আর মাত্র দুটি। একটি আমেরিকা‚ অন্যটি কানাডায়। সাকাব নাকি ছুটতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ৪৩ কিমি বেগে। এবং বিন্দুমাত্র অসুবিধে হয় না সওয়ারির। কারণ তাঁর অবস্থান একইরকম থাকে। এই বৈশিষ্ট্য বিরল ঘোড়াদের মধ্যে।
এরকম বাহনকে নেওয়ার জন্য লম্বা লাইন তো পড়বেই। গত বছর পঞ্জাবের বাদল পরিবার ১ কোটি ১১ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল। এ বছর গোপন এজেন্ট মারফৎ দর পাঠিয়েছেন সালমান খান। তিনি ২ কোটি টাকা অবধি দিতে চান। কিন্তু টলানো যায়নি সিরাজখান পাঠানকে। আরও সাতজন ক্রেতা হাজির মোটা দাম নিয়ে। কিন্তু সাকাব রয়ে গেছে পাঠানের আস্তাবলেই।
দু বছর আগে সাকাবকে কিনেছিলেন সিরাজ পাঠান। রাজস্থানের পালোতারা মেলা থেকে সাড়ে চোদ্দো লাখ টাকায়। আগে আরও দুই মালিকের কাছে ছিল ঘোড়াটি। প্রথমে নাম ছিল তুফান। পরে নাম হয় পবন। সিরাজ নাম দিয়েছেন সাকাব। তার একটা চোখ সাদা‚ অন্যটা কালো। অনেকের কাছে এমন ঘোড়া অশুভ। কিন্তু সাকাবকে খুব পবিত্র বলে মানেন সিরাজ পাঠান।
সাকাবের বাবা ছিল রাজস্থান-সুথরওয়ালি ব্রিড। মা পাকিস্তানি-সিন্ধি ব্রিড। তাই ঘোড়ার আভিজাত্যে সাকাবের যে নীলরক্ত তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই সিরাজ পাঠান চান তাঁর আস্তাবল আলো করেই থাকুক সাকাব। সে নাকি মানুষের সঙ্গ খুব পছন্দ করে। যতই জোরে দৌড়োক‚ নিরাপদ পার্শ্ববর্তীরা। মালিকের কাছে এরকম পোষ্যের তুলনায় হার মেনেছে সালমান খানের মতো তারকা নামও।
এমটি নিউজ/আ শি/এএস