বিনোদন ডেস্ক : পদ্মাবত নিয়ে কার্ণি সেনার প্রতিবাদে জ্বলে উঠেছিল গোটা পশ্চিম ভারত। এবার আর এক ঐতিহাসিক ছবি বিক্ষোভের মুখে পড়তে চলেছে। কঙ্গনা রানাওয়াতের ড্রিম প্রোজেক্ট মণিকর্নিকা। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন প্রসূণ যোশী। যিনি আবার সিবিএফসির চেয়ারম্যান।
পদ্মাবতের পর এবার মণিকর্নিকা ইতিহাস চরিত্র হলেই বিতর্ক তৈরি করতে ছাড়ছেন না কেউই। ঐতিহাসিক চরিত্র হলেই হল। রে রে করে বিতর্ক তৈরি করতে নেমে পড়ে বিভিন্ন সংগঠন। ছয় মাস ধরে পদ্মাবত নিয়ে বিক্ষোভের পর এবার রাজস্থানের সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভার নজর পড়েছে 'মণিকর্ণিকা'-র ওপর। ছবিতে ঝাঁসির রাণি লক্ষ্মী বাঈয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তাদের বক্তব্য এই ছবিতে চরিত্রটি ঠিকভাবে দেখানো হয়নি। ছবিটি নিয়ে পথে নামার ডাক দিয়েছেন তারা।
সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভার অভিযোগ, এক বিদেশির বই থেকে নেওয়া গল্প নিয়ে ছবির কাহিনী এগিয়েছে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রানির মর্যাদা। তারা ছবির প্রযোজক কমল জৈনকে চিঠি লিখে জানতে চান, ছবির গল্প লিখেছেন কারা, কোন ঐতিহাসিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা হয়েছিল ও ছবিতে কোনও গান থাকলে সে সম্পর্কে।
ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের জীবনের ওপর আধারিত এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন কঙ্গনা রানাউত। মণিকর্নিকা তাম্বে, এই তার আসল নাম। বিবাহ সূত্রে তিনি ঝাঁসির রাজা গঙ্গাধর রাওয়ের স্ত্রী। যে গঙ্গাধর রাওয়ের ভূমিকায় ছবিতে অভিনয় করছেন যীশু সেনপুপ্ত। আর ভারতের ইতিহাসে এই মণিকর্নিকাই ঝাঁসির রানি নামে বিখ্যাত।
রানি ব্রাহ্মণ ছিলেন, তাই মহাসভার বক্তব্য, ছবিতে এমন কিছু থাকা চলবে না যাতে ব্রাহ্মণদের আবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত লাগে। দরকারে রাজ্য সরকার প্রযোজকদের কাছ থেকে এফিডেভিট নিয়ে নিশ্চিত করুক, তার কোনও প্রেমের ব্যাপারে ছবিতে দেখানো হয়নি।
এমটিনিউজ/এসএস