বিনোদন ডেস্ক : নাজনীন আক্তার হ্যাপী। তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আলোচিত একটি নাম। শুধু বাংলাদেশেই নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও তিনি একজন আলোচিত ও সমালোচিত। আর পিছনের কারণটি হচ্ছে ক্রিকেটার রুবেল হোসেন।
রুবেল হোসেনের সঙ্গে প্রেম। প্রেম পরবর্তীতে বিতর্কীত। এরপর সমালোচিত সব স্ট্যাটাসের কারণে প্রতিদিনই খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। সেই হ্যাপী এখন বদলে গেছেন। আগের জীবনটা তার কাছে নিছক জাহান্নামের জীবনই ছিলো। এই নিয়ে তিনি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। সেখানে বর্তমান ও অতীত জীবন নিয়ে লিখেছেন অনেক কথা।
হ্যাপীর সেই স্ট্যাটাসটি এমটিনিউজ-এর পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই আমি কি আগের সেই মেয়েটি? কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি যে, আজকের আমি কোনদিন হতে পারবো।
‘আগে ভাবতাম - জীবন তো একটাই সো যা খুশি তাই করা উচিৎ, নতুন নতুন ডিজাইনের অল্প কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাক কিনে আলমীরাতে সাজাতে হবে, আর নতুন কোন মডেলের মোবাইল এলো সেটা তো কিনতেই হবে ,পার্লারে মাসে অন্তত চার বার না গেলে হবেই না ,বান্ধবীদের সাথে ঘনঘন দামি দামি রেস্টুরেন্টে আড্ডা দেওয়া, কেউ নোংরা কথা বললে অন্তত একটা গালি দেওয়া, অনেক জোরে জোরে গান শোনা এগুলোকেই মনে হত জীবনের সব ( আমি না শুধু , সব আধুনিক মেয়েই এ রকমভাবে জীবনকে ভাবে বা এর চেয়ে আরও উন্নতভাবে ) কিন্তু এখন মনে হয়------
জীবন একটাই এবং জীবনের এই সময়টা শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইবাদাতের সময়।এখন আমার পছন্দের পোষাক শুধুই বোরখা আর সালোয়ার কামিজ (হিজাবও) এবং কামিজের হাতাটা ফুল হাতা হতে হবে।আমার সখের আই ফোন সিক্স প্লাস চার্জ দেওয়ার অবহেলায় অনেক দিন ধরেই নিস্তেজ হয়ে আছে অথচ চালু করার প্রয়োজন বোধ হচ্ছে না। আর পার্লার ? আল্লাহ নিজ হাতে যেই রূপ দিয়েছে ,এতে কেন খুশি হতে পারব না?আল্লাহ আমাকে মাসাল্লাহ অনেক সৌন্দর্য দিয়ে বানিয়েছেন তাহলে এত ঘসামাজার কি দরকার আছে?বরং ভেতরের সৌন্দর্য বাড়াতে হবে ইসলামের আলোতে।আর আড্ডা দেওয়া? আড্ডার ছলে থাকলে যদি আমার নামাজ কাযা হয়ে যায়, আামার এত বড় ক্ষতির ভার তো আমাকেই নিতে হবে এবং এর সাজাও আমাকে পেতে হবে। এখন আমাকে কেউ মেরে ফেললেও আমার মুখ থেকে গালি কেন, কোন বাজে কথাও বের করতে পারবে না । এখন গানও শুনি না ,আযানই শুধু মধুর লাগে। এবং আযান শুনে যতক্ষন নামাজে না দাড়াব , ততক্ষন খুব অস্থির লাগে।কোন দুঃখই আমাকে ছুতে পারে না ,সবকিছুতেই আমি আল্লাহ তায়ালার রহমত অনুভব করি।
জ্বী, এটাই এখনকার আমি! -------এবং আগের জিবন টা আমার কাছে খুব অচেনা লাগে।।মনে হয় ঐ জাহান্নামী জীবন কখনোই আমার ছিল না।
গল্পের মত মনে হলেও এটাই বাস্তব। এটাই আমি।
একটু ভাবুন তো, ইসলামের পথে না চলে কি কি ফায়দা আছে? কিচ্ছু নেই, জাহান্নামের আগুন ছাড়া। আল্লাহর পথেই শান্তি ও সমাধান ।আমাদের এই দুনিয়াতে যা করব তার সব যেন আল্লাহকে খুশি করার আশায় হয় ।। আমীন।’
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন