বিনোদন ডেস্ক: অভিনয়ে তাঁরা মাত করেছেন। জনপ্রিয় এসব অভিনেত্রী পরিচালনা কিংবা প্রযোজনার খাতায়ও নাম লিখিয়েছেন। তাদের খোঁজ খবর দেয়া হল,তাঁদের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি কী?
সুচন্দা
১৯৯৬ সালে সুচন্দা ছেলে তপু রায়হানকে নায়ক বানিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘সবুজ কোট কালো চশমা’। তবে আলোচনায় এসেছিলেন ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমার মাধ্যমে। জহির রায়হানের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন ২০০৫ সালে। সিনেমাটির জন্য সেরা প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। দীর্ঘদিন ধরে সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে নেই। তবে ছোট পর্দার জন্য নাটক নির্মাণ করেছেন।
জহির রায়হানের জীবদ্দশায় ‘টাকা আনা পাই’ ও ‘প্রতিশোধ’ প্রযোজনা করেন। এ ছাড়া তিন কন্যা, বেহুলা লখিন্দর, বাসনা ও প্রেমপ্রীতি, সবুজ কোট কালো চশমা চলচ্চিত্রগুলো প্রযোজনা করেন।
সারাহ বেগম কবরী
২০০৬ সালে মুক্তি পায় এই অভিনেত্রীর পরিচালনায় প্রথম ছবি ‘আয়না’। সে সিনেমায় অভিষেক হওয়া অভিনেত্রী সাবাহ এখন তারকা। প্রায় তিন বছর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন দ্বিতীয় ছবি ‘এই তুমি সেই তুমি’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করবেন। কিন্তু প্রযোজক না পাওয়াতে সে সিনেমা নির্মাণ হয়নি।
সিনেমাটিতে অভিনয় করার কথা ছিল আলমগীরের। দুই প্রজন্মের দুই জুটি নিয়ে ছবির গল্প। আলমগীরের সঙ্গে জুটি হতেন তিনি। আরেক জুটিতে থাকবেন আরিফিন শুভ ও কলকাতার কোনো নায়িকা। ছবির গল্প, সংলাপ আর চিত্রনাট্য তিনি নিজেই লিখেছেন। এখনো আশা দেখছেন সে ছবি হবে বলে।
আরিফা পারভীন মৌসুমী
২০০৩ সালে মুক্তি পায় মৌসুমী পরিচালিত প্রথম ছবি ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’। ছবিটিতে অভিনয় করেন মৌসুমীও, সঙ্গে ছিলেন ফেরদৌস ও রাজ্জাক। দুই বছর পর মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালনা করেন ‘মেহেরনিগার’,এটিতেও মৌসুমীর বিপরীতে ফেরদৌস। এক যুগেরও বেশি সময় পর নির্মাণ করেন ‘শুন্য হৃদয়’ চলচ্চিত্রটি। ২০১৬ সালে নির্মাণ করেন ‘ভালোবাসবইতো’। তবে অনেকদিন ধরে এ অভিনেত্রীর পরিচালনার কোন খবর নেই।
মৌসুমী ১৯৯৬ সালে ‘গরিবের রানী’ ছবি দিয়ে প্রযোজকের খাতায় নাম লেখান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কপোতাক্ষ চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর এই সুখের ঘরে দুঃখের আগুন ও বউয়ের সম্মান (আমার বউ) ছায়াছবি প্রযোজনা করেন। ১৯ বছর পর আমি এতিম হতে চাই দিয়ে প্রযোজনায় ফেরেন।
মেহের আফরোজ শাওন
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। সে হিসেবে নাটক নির্মাণ করেন প্রথমে। তার প্রথম সিনেমা ‘কৃষ্ণপক্ষ’। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘কৃষ্ণপক্ষ’ অবলম্বনে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করেন রিয়াজ ও মাহিয়া মাহি। দ্বিতীয় ছবি ‘নক্ষত্রের রাত’ নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এটিও হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে। এবারও নায়িকা মাহি, নায়ক নবাগত বাঁধন।
সুজাতা
সুজাতা নির্দেশিত একমাত্র চলচ্চিত্র ‘অর্পণ’। তবে তাঁর প্রযোজনা সংস্থা— ‘সুজাতা প্রোডাকশন্স’, ‘এস এ ফিল্মস’ ও ‘সুফল কথাচিত্র’। এই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ‘চেনা অচেনা’, ‘টাকার খেলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘অর্পণ’, ‘রূপবানের রূপকথা’, ‘বদলা’, ‘রং বেরং’, ‘এখানে আকাশ নীল’ ইত্যাদি।
শাবানা
১৯৭৯ সালে ‘এস এস প্রোডাকশন’ নামে খোলেন প্রযোজনা সংস্থা। ওই বছর আজিজুর রহমানকে দিয়ে নির্মাণ করেন ‘মাটির ঘর’। প্রযোজক হিসেবে প্রথম ছবিতেই সাফল্য পান। প্রায় ২৫টি ছবি প্রযোজনা করেন। সবগুলোই সফল। অভিনেত্রী ও প্রযোজক দুভাবেই সফল তিনি।
ববিতা
আশির দশকে ‘ফুলশয্যা’ ছবিটি প্রযোজনার মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রযোজিত ‘পোকা মাকড়ের ঘরবসতি’ ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম ববিতা মুভিজ।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি