বিনোদন ডেস্ক : মেয়েরা ছিল মা বলতে অজ্ঞান। ছোট মেয়ে খুশি তাও অনেকটা স্বাবলম্বী। কিন্তু, বড় মেয়ে জাহ্নবী ছিল পুরোপুরি মায়ের ওপর নির্ভরশীল। আর তাই, জাহ্নবীর সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্কটা মা-মেয়ের সম্পর্কের থেকেও অনেক বেশি গাঢ় ছিল। জীবনের পথে মায়ের পরামর্শই ছিল জাহ্নবীর পাথেয়। মা শ্রীদেবীকেই নিজের আদর্শ মানে জাহ্নবী। মায়ের সঙ্গে এত ভালো সম্পর্ক যে মেয়ের, সেও নাকি একবার মাকে বলেছিল, মা, তুমি খুব খারাপ।
পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে শ্রীদেবী বলেছিলেন, জাহ্নবী একবার সদমা ছবিটা দেখেছিল। তখন ওর মাত্র ছ’বছর বয়স। ছবি দেখার পর মেয়ে তিনদিন কথাই বলেনি আমার সঙ্গে। শুধু বলেছিল, মা, তুমি খুব খারাপ। ওকে তুমি এত কষ্ট দিয়েছ কেন? তারপর অনেক বোঝানোর পর জাহ্নবী ঠিক হয়েছিল।
শ্রীদেবী যদিও সাদমা ছবিতে তাঁর চরিত্র নিয়ে বিশেষ উচ্ছ্বসিত ছিলেন না। তাঁর মতে, দর্শকরা পছন্দ করলেও ওই ছবিতে তিনি শুধুমাত্র একজন শিশুসুলভ হাবভাব করা নারীর অভিনয় করেছেন। আসলে, কমল হাসানের চরিত্রটি অনেক বেশি গভীর ও টাচি ছিল।
প্রসঙ্গত, স্বামী বনি কাপুর ও ছোটো মেয়ে খুশিকে নিয়ে দুবাইয়ে এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। করণ জোহরের “ধড়ক” ছবির শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেননি জাহ্নবী। এরপর দুবাইতেই দুর্ঘটনাবশত পানিতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয় শ্রীদেবীর।
শুটিং চলাকালীন মায়ের মৃত্যুসংবাদ পান জাহ্নবী। মা’ই ছিল তার জগৎ। হঠাৎই এভাবে মাকে হারিয়ে তাই ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন শ্রীদেবীকন্যা। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে শ্রীদেবীর। শোনা যাচ্ছে, তারপর থেকে করণ জোহরই আগলে রাখছেন জাহ্নবীকে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস