দেব, শুভশ্রী ও এক সতীন!
বিনোদন ডেস্ক : ‘ধুমকেতু’র শুটিং করছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। ক্যামেরার সামনে দেব-শুভশ্রী। চার বছর ব্রেকের পর সুইচ অন। তাই ‘ধুমকেতু’র পাশাপাশি তাঁদের ব্যক্তিগত কেমিস্ট্রি নিয়েও জোর আলোচনা চলছে ইউনিটের ভিতরে এবং বাইরে। প্রেম ভেঙে যাওয়ার পরেও দেব-শুভ কি একই রকম প্রফেশনাল?
প্রথম দিন গানের শুটিং। মাথায় কাঠের বোঝা নিয়ে রেডি স্থানীয় মহিলারা (ওঁরা এ ছবির জুনিয়র আর্টিস্ট)। বেগুনি রঙা শার্ট আর হাফ হাতা হলুদ সোয়েটারে ফোনে ব্যস্ত দেব। আর সকালের রোদ্দুর গায়ে মেখে কোরিওগ্রাফার বাবা যাদবের কাছে শট বুঝে নিচ্ছেন শুভশ্রী। সঙ্গী একটি লেডিস সাইকেল। রিহার্সাল শেষ। ও দিকে তখনও দেবের কানে ফোন। সাউন্ড। বাবা মাইকে হেঁকে বলতেই পজিশন নিলেন দেব। ক্যামেরা..। শুভশ্রীর চোখে তখন কপট রাগ।
শটের সময়টুকু বাদ দিয়ে প্রায় সব সময়ই ফোন কানে ব্যস্ত ছিলেন দেব। এর মাঝে মাত্র একবারই ফোন এসেছিল শুভশ্রীর। এ দিকে শট প্রায় রেডি। দেব বললেন, ‘ওয়ে হিরোইন আ জা। হিরো কা ফোন রাখ’।
অনুপমের গান খুরপাতালের পাহাড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে মায়াবী সুর। শট ওকে...। থাম্বস আপ দেখালেন কৌশিক। মনিটরে চোখ রাখলেন দেব-শুভ। দেখা শেষ হতেই হাতে হাত মিলিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন ‘আমার মনের আর নিও না খোঁজ’...। ঠিক যেন চার বছর আগের একটা নস্টালজিক ফ্রেম।
পাহাড়ের ঢালে দেবের প্রথম পরিচয় এমপি সাহাব। তাকে আগলে রাখছেন ব্যক্তিগত রক্ষী রাজেশ। আর এটা নিয়েই বেশ খুনসুটি করলেন শুভ।
সন্ধে নামছে পাহাড়ের বাঁকে। হনুমান মন্দির যাওয়ার সরু রাস্তায় হাজির ইউনিট। জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়েছে। জ্যাকেট চাপিয়ে হাজির দেব। শুভশ্রীর গায়ে কিন্তু একটা পাতলা চাদর। শট বোঝাচ্ছেন কৌশিক। গানের শেষে দেবের কাঁধে মাথা রাখবেন নায়িকা।
প্যাক আপ। হনুমান মন্দির থেকে গাড়ি পর্যন্ত ফিরতে হবে পায়ে হেঁটে। পাহাড়ে ঝুপ করে আঁধার নামে। শুভশ্রী এগোলেন। যাওয়ার আগে দেবকে বললেন, ‘সি ইউ নেক্সট ডে। ভালবাসা নিও।’ দেবের উত্তর, ‘সাবধানে যেও। ভালবাসা দিতে যাচ্ছি।’
রাত পার্টিতে হাজির তারারা। সঙ্গে দিওয়ালি সেলিব্রেশন। দারুণ উতৎসাহে তুবড়ি জ্বালাচ্ছেন শুভশ্রী। আর দেবের মনে পড়ে যাচ্ছে, বছর কয়েক আগের বর্ধমানের দিওয়ালি। শুভর সঙ্গে অনেক বাজি নিয়ে পৌঁছে যেতেন শুভদের বাড়িতে। অতঃপর? স্মৃতির অ্যলবামের রোশনাইতে চোখ চিকচিক করে ওঠে দেবের..নৈনিতালের পাহাড়ি রাতে গুমরে ওঠে অতীত।
পার্টি জমেছে দেবের হোটেলে। রুম নম্বর ১০৩ আপাতত এমপি সাহাবের ঠিকানা। ঘরের বাইরে অতন্দ্র পাহারা। হোটেলের লন থেকে বসে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে সে ঘর। শুভশ্রীর প্রাণখোলা হাসিতে ভরে আছে পার্টির অন্দর। কিন্তু কোথায় যেন তাল কেটেছে দেবের। এক অতিথি বলে উঠলেন, ‘দেবের রুম নম্বরটা খুব ইন্টারেস্টিং। ১০৩।’ জিজ্ঞাসু চোখে তাকাতেই উত্তর পেলাম ‘এক সতীন।’ -আনন্দ বাজার
৩০ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�