যে কারণে সুপ্রিমকোর্ট গোবিন্দকে ক্ষমা চাইতে বললো
বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির একজন সদস্য ছিলেন। ২০০৪ সালে ভারতের ১৪ তম লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র প্রদেশ থেকে উত্তর মুম্বাইয়ের সপ্তম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন, এই নির্বাচনে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির রাম নায়েককে হারান। ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে, তিনি চলচ্চিত্র অভিনয়ে মনোনিবেশ করার জন্য রাজনীতি পরিত্যাগ করেন। কিন্তু ২০০৮ সালে এক ফ্যানকে চড় মারার কারণে অভিনেতা গোবিন্দকে অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয়৷ সেই চড় মারার ঘটনা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত৷ সাত বছর পর ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট তাকে নির্দেশ দিয়েছে ওই ফ্যানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য৷
বছর সাতেক আগে এক ফ্যানের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন গোবিন্দ৷ ‘মানি হ্যায় তো হানি হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে সন্তোষ রাজ নামে এক ব্যক্তিকে আচমকাই চড় মারেন তিনি৷ আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি জানান, ‘ওই ব্যক্তি অভিনয়ের সেটে বার বার মহিলা ডান্সারদের কাছাকাছি চলে আসছিলেন৷ বারণ করা সত্ত্বেও শোনছিলেন না তিনি তাই একটা চড় মেরে দিলাম’৷ কিন্তুু তার মতো পরিচিত মুখের এরকম কোনও ঘটনায় জড়িয়ে পড়া উচিত নয় বলেই মনে করছে শীর্ষ আদালত৷ বিচারক টি এস ঠাকুরের বেঞ্চ পুরো ঘটনাটির ভিডিও খতিয়ে দেখেন৷ অভিনেতাকে সতর্ক করে দিয়ে জানানো হয়, সিনেমার দুনিয়া তিনি যা করেন, বাস্তব জীবনে তা করার কোনও প্রয়োজন নেই৷ সেইসঙ্গে ওই ব্যক্তির কাছে অভিনেতাকে ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত৷
৩০ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�