বুধবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:২২:৫৫

ঋতুপর্ণা হতে চান ইন্দ্রাণী!

ঋতুপর্ণা হতে চান ইন্দ্রাণী!

বিনোদন ডেস্ক : গোটা ইন্ডাস্ট্রি জানে, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আর ইন্দ্রাণী দত্ত, দুজনে খুব ভালো বন্ধু। এতবছর পরও তাদের বন্ধুত্ব আগের মতোই প্রগাঢ়৷ তবে দক্ষ নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী হওয়ার পরও ইন্দ্রাণী বরাবরই মনে মনে চেয়েছে ঋতুপর্ণার মতো নাম, যশ, খ্যাতি। কিন্তু ব্যাপারটা কী? এতদিন পর হঠাৎ ঋতুপর্ণার জায়গায় নিজেকে দেখার ইচ্ছে হল কেন তাঁর? অবশেষে জানা গেল পরিচালক স্বাগত চৌধুরীর ইচ্ছেতেই নাকি তিনি এই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। কারণ স্বাগতর আগামী ছবির নায়িকা তিনিই। আর সে ছবির বিষয় এমনই চমকপ্রদ। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে সেই ছবির শ্যুটিং। সম্প্রতি ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে হয়ে গেল সে ছবির শুভ মহরৎ। ‘দূরবীণ’-এর পর এবার ‘নায়িকার ভূমিকায়’ নামে একটি ছবি করতে চলেছেন পরিচালক স্বাগত চৌধুরী। এই ছবিটা জুড়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে দেখা গেলেও ছবির নায়িকা কিন্তু ইন্দ্রাণী দত্ত। এই ছবিতে ইন্দ্রাণী দত্তকে দেখা যাবে ৪২ বছরের গৃহবধূ লহনার ভূমিকায়৷প্রাত্যহিকতার জাঁতাকলে পুরোপুরি যে আটকে গিয়েছে। ছেলের মনের মতো টিফিন তৈরি করা, শাশুড়ির একাদশীর আচারের আয়োজন কিংবা সাধারণ জীবনের ধারণায় বেঁচে থাকা স্বামীর সঙ্গে থেকেও তার স্বপ্নগুলো এখনও জীবন্ত৷ শুধুমাত্র কারোর স্ত্রী, মা কিংবা পুত্রবধূর মর্যাদাই তাকে তৃপ্ত করতে পারে না। সে চায় তার ছোটবেলার বন্ধু, বর্তমানের গ্ল্যামারক্যুইন নায়িকা ঋতুপর্ণার মতো রূপোলি পর্দার আলোর উত্তাপে ঝকঝক করতে৷ কিন্তু একটা সময় তার স্বপ্নটা ভেঙে যায়। কিন্তু ভেঙে পড়েনি লহনা। অবশেষে সে তার লক্ষে পৌঁছয়। জীবনের মধ্যপ্রান্তে এসে, সংসারের চোরা যুদ্ধে ক্লান্ত হয়েও কোনও মহিলার যে ইচ্ছা বা স্বপ্নের মৃত্যু ঘটে না, সেটাই এই ছবিতে বোঝাতে চাইছেন পরিচালক স্বাগত চৌধুরী। ‘লাইফ বিগিনস অ্যাট ফরটি’-পুরুষদের মতো মহিলাদের ক্ষেত্রেও যে এই প্রচলিত কথাটি খাটে, সেটাই মনে করেন পরিচালক। স্বাগত বললেন, শুধু দেখতে হবে স্বপ্নগুলো যেন ঠিকমতো অক্সিজেন পায়। একটু খোলা পেলেই যেন সে ডানা মেলে উড়তে পারে। এ ছবিতে মেয়েদের ভূমিকা বদলের গল্পই লহনাকে দিয়ে বলিয়েছেন পরিচালক। ‘বেলাশেষে’র পর আবার একটা অন্যধারার ছবিতে কাজ করতে পেরে খুশি ইন্দ্রাণীও৷ বললেন, ‘বেলাশেষে’র পর পাঁচ-ছটা ছবির অফার পেয়েছিলাম৷ কিন্তু ঠিক মনে ধরেনি৷ এই ছবির গল্পটা আমাদের। মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়েদের অবস্থানকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে৷ ইন্দ্রাণী মনে করেন, দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের কারনে ঋতুপর্ণাকে তিনি যতটা বুঝতে পারেন ততটা হয়তো আর কারোর পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়৷ সেটা ভেবেই পরিচালক তাকে চরিত্রটার জন্য বেছেছেন। পরিচালক অবশ্য জানিয়েছেন, এই চরিত্রটাই ইন্দ্রাণী দত্তকে ডিমান্ড করছিল৷ তিনি জানিয়েছেন, এই ছবিতে ইন্দ্রাণীর লুকের অনেক তারতম্য দেখা যাবে৷ ছবির পুরো শুট্যিং হবে কলকাতাতেই। ইন্দ্রাণী দত্ত ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়া, দিশা নন্দী ও অথিতি শিল্পী হিসেবে থাকছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরিচালক জানিয়েছেন, ছবিতে চারটি গান থাকছে। গানগুলো পরিচালনা করছেন জয় সরকার। ০২ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে