‘ইয়লো’র প্রভাব ছিল না ভাইজানের মুন্নির উপর
বিনোদন ডেস্ক : আলোচিত ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’-এর মুন্নি এখনও রয়েছে সিনেপ্রেমীদের মনের কোণাকোঠায়। গোটা ছবি জুড়ে একটাও কথা না বলেই সে বলে দিয়েছে অনেক কথা।
মারাঠি ছবি ‘ইয়েলো’তেও এরকমই এক বিশেষ বাচ্চার কাহিনি দেখান হয়েছে। সে ছবি জাতীয় পুরস্কারের আসরে জুরিদের পুরস্কারও পেয়েছে। প্রশ্ন উঠেছিল, দুই ছবিতে বাচ্চার চরিত্রের মধ্যে কোথাও কি মিল থেকে গেল? মুন্নির স্রষ্টা কবীর খান অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ ও ‘ইয়েলো’ দুটো আলাদা ঘরানার ছবি।
‘ইয়েলো’ তথাকথিত মেইনস্ট্রিম ছবি নয়। তাই বহুসংখ্যক দর্শক সে ছবির কথা জানেনও না। সে ছবিতেও এক ‘স্পেশাল চাইল্ড’-এর জীবনের কথা উঠে এসেছিল।
ঠিক ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’-এর মুন্নির মতোই। ছবিতে সালমান খান নায়ক হলেও গল্পের নিয়ন্ত্রণ ছিল মুন্নির উপরেই। তবে দুটো ছবিতেই ‘স্পেশাল চাইল্ড’, ছবির বুননে দুটো ছবি দুই গোত্রের বলেই জানাচ্ছেন পরিচালক কবীর খান।
কেননা ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ একটি বিশেষ ইস্যুভিত্তিক হয়েও হয়ে উঠছে লার্জার দ্যান লাইফ। অনেকটাই কল্পনা ও রোমান্স জায়গা করে নিয়েছে কাহিনির অন্দরে। সেখানে ‘ইয়েলো’ শ্লেষের মাধ্যমে তুলে ধরেছে সামাজিক কিছু বার্তা। দুই ছবির ধরন তাই আলাদা।
প্রতিবন্ধীদের ছবি নিয়ে প্রথম অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসবে দেখান হয়েছে দুটি ছবিই। দুটি ছবি দর্শকের প্রশংসা পেয়েছে। দুই পরিচালকই একে অন্যের কাজ দেখেছেন। অনেক তফাৎ আছে দু’জনের ছবি তৈরির পদ্ধতিতে তা স্বীকার করে নিয়েও, প্রতিবন্ধীদের প্রতি ভালবাসা, সহমর্মিতা ও আবেগের জায়গায় কোথাও যেন মিলে গিয়েছেন দুই পরিচালকই।
০৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�