মিঠুনকে নিয়ে নানা প্রশ্ন
বিনোদন ডেস্ক : সংসদের অধিবেশন থেকে দূরত্বই বজায় রাখছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। শারীরিক অসুস্থতার জন্য অন্য বারের মতো এই দফাতেও অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তবে এবার তার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যসভায়।
গত বছর ১০ জুন সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার পর গত দেড় বছরে সারদা কাণ্ডের জেরে রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ মিঠুন রাজ্যসভায় যাননি বললেই চলে। আজ অধিবেশন শুরু হতেই তার দীর্ঘ অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে ক্ষোভ জানান জেডি (ইউ) সাংসদ কে সি ত্যাগী।
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের মনোনীত সাংসদদের দেখা যাচ্ছে, সংসদে আসার কোনও প্রয়োজনই নেই।’
পরে সংবাদমাধ্যমের কাছেও তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। ত্যাগীর কথায়, ‘মিঠুন চক্রবর্তী অসুস্থতার কারণে সংসদের কোনও বির্তকেই অংশ নিচ্ছেন না। কোনও প্রক্রিয়াতেই তিনি নেই। মাত্র এক দিন তাকে দেখা গিয়েছে। কী প্রয়োজন তার সংসদে আসার?’
মিঠুন অবশ্য মনোনীত সাংসদ নন। তিনি রাজ্যসভায় নির্বাচিত সাংসদ।
ত্যাগীর ওই মন্তব্য অবশ্য অধিবেশনের রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজকের এই ঘটনা মিঠুনকে নিয়ে পুরনো বিতর্কই আবার নতুন করে উস্কে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। সারদা গোষ্ঠীর বেআইনি ব্যবসার জেরে চলতি বছরের মে মাসে ইডি তাকে ডেকে পাঠানোর পর এই তারকা-সাংসদের অস্বস্তি প্রবল হয়েছে।
পাশাপাশি, তিনি প্রবল অভিমানে রাজনীতি তথা তৃণমূল নেতৃত্বের দিক থেকেও মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন বলে খবর। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুযোগ করেছেন, তার দলের সাংসদ তার সঙ্গেই কোনও যোগাযোগ রাখেন না। প্রকৃতপক্ষেই তৃণমূলের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছেন বিরক্ত মিঠুন। তিনি সাংসদ হিসাবে পাওয়া বিশেষ পাসপোর্টটিও ফেরত দিয়েছেন। জানিয়েছেন, সাধারণ পাসপোর্টেই ভ্রমণ করতে বেশি স্বচ্ছন্দ তিনি।-আনন্দবাজার
০৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�