অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শরীর গঠনে যা বললেন ট্রেনার
বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে কার কত ওজন হবে, ঠিক কতটা কমবে বা বাড়বে সেটা কিন্তু জাসমিনের হাতেই৷ কোনও আইটেম সং-এ কোমর দুলানো হোক বা বিশেষ চরিত্রের জন্যে রোগা বা মোটা হওয়া, তার তত্ত্বাবধান ছাড়া প্রায় অসম্ভব বলা যেতে পারে৷ শুধু নায়িকারা নন, অর্জুন রামপাল, ইমরান খান সহ বহু নায়কেরও কিন্তু ট্রেনার জাসমিন৷ কোন নায়িকার মত হতে চান বলুন? আলিয়া, কারিনা, মালাইকা, ক্যাটরিনা, দীপিকা-সবাই ভরসা করেন জাসমিনের ওপরেই৷ তার ট্রেড সিক্রেটটা কী? 'প্রত্যেকের বডিটাইপ আলাদা৷ সেটা বোঝা এবং সেইভাবে তাদের তৈরি করা৷ আর হ্যাঁ কোনও সাপ্লিমেন্টের সাহায্যে নয়৷ প্রপার এক্সারসাইজ আর ডায়েটের মাধ্যমে৷ শুধু নন-ভেজ হলে দিনে একবার আর ভেজ হলে দিনে দু'বার প্রোটিন শেক খেতে বলবো৷ ব্যস, আর বাকিটা বাড়ির খাবার৷'
ক্যাটরিনা কাইফ : ক্যাটরিনা একেবারেই ওয়ার্কআউট করতে ভালোবাসেন না৷ কিন্তু বলিউডে টিকে থাকতে গলে ওয়ার্ক-আইট করতেই হবে৷ তাই ওর জন্যে বোরিং জিম নয়৷ আমি যতটা সম্ভব পিলাটেস এক্সারসাইজ করাই ক্যাটরিনাকে৷ তবে ও খুব হার্ড ওয়ার্কিং৷ 'কমলি' বা 'শিলা'-র সময় ওয়ার্কআউট রেজিমটা অবশ্য অনেক শক্ত ছিল৷ শুধু এক্সারসাইজ নয়, ডায়েটটাও ভাইটাল ছিল তখন৷ কখনও নিয়মের বাইরে যায় না৷ তাই ক্যাটরিনা ট্রেন করা খুব সহজ৷ প্রতিদিন এক ঘণ্টা এক্সারসাইজ ওঁর জন্যে মাস্ট৷
জারিন খান : জারিনের কথা বলতেই হবে৷ 'হেট স্টোরি থ্রি'-তে ওঁর দুর্দান্ত ফিগার পছন্দ হলে জেনে রাখুন, ওঁর ওজন ছিল ১০০ কেজি৷ কমিয়ে হয়েছে ৫৭ কেজি৷ বুঝতেই পারছেন এটা একেবারেই সোজা ব্যাপার নয়৷ জারিনের জন্যে জিম-পিলাটেস-এর মিশেলে তৈরি করেছিলাম ওয়ার্ক-আউট রেজিম৷ প্রতিদিন এক ঘণ্টা পিলাটেস মাস্ট৷ আর আমার সঙ্গে সেশন সপ্তাহে তিনদিন৷ সাঁতার আর জগিংও ছিল এই রেজিমের অন্তর্ভুক্ত৷ মিষ্টি আর ভাজাভুজি একেবারেই বন্ধ৷ মেটাবলিক রেট বাড়ানোর জন্যে প্রতি দু'ঘণ্টা অন্তর খাওয়া মাস্ট৷
সোনাক্ষী সিনহা : ওজন ছিল প্রায় ৯০ কেজি৷ সেখান থেকে ৩০ কেজি কমিয়েছেন তিনি৷ ওঁর চেহারাটা খুব বেশি ভারতীয়৷ আর সেটাই ওঁর বৈশিষ্ট্য৷ তাই একেবারে রোগা হয়ে গেলে ওকে মোটেই মানাবে না৷ খাজুরাহোর মূর্তির মতো কার্ভ না থাকলে আর সোনাক্ষীর ইউএসপি কী হল! সোনাক্ষী সব রকমের এক্সারসাইজ করেন৷ কার্ডিও, ফাংশানাল ট্রেনিং, সাইক্লিং, সাঁতার-সব৷ সব সময় বাড়ির খাবার খান৷ আর সারাদিনে বেশ কয়েক কার গ্রিন টি ওঁর চাই৷
দীপিকা পাড়ুকোণ : ওঁর চেহারাটাই পুরো অ্যাথলিটদের মতো৷ রোগা, ছিপছিপে৷ কিন্তু তার পারেও রোজ এক ঘণ্টা এক্সারসাইজ করতে চলে আসে ও৷ ওঁর ক্ষেত্রেও এক্সারসাইজটা অনেক কিছু এক সঙ্গে৷ জাম্পিং স্কোয়াট ওঁর জন্যে মাস্ট৷ এতে খুব সহজেই এক-দু' কিলো ওজন কমানো যায়৷ এছাড়া সাঁতার, যোগা, পিলাটেস সবই রয়েছে৷ কার্ডিও করেন৷
কারিনা কাপুর খান : কারিনা ডায়েটকে খুব প্রাধান্য দেন৷ তবে এক্সারসাইজও মাস্ট ওঁর জন্যে৷ মূলত যোগা ওঁর পছন্দ৷ পাওয়ার যোগা করেন৷ তবে জিম আর পিলাটেসও বাদ দেন না৷ ডায়েট কারিনাকে অনেকটা সাহায্য করে৷ সপ্তাহে তিনদিন এক্সারসাইজ ওঁর জন্যে বরাদ্দ৷ তবে বাড়িতে প্রতিদিন একঘণ্টা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ মাস্ট৷
৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�