‘সালমান নির্দোষ, তবে বাবার খুনি কে?’
বিনোদন ডেস্ক : আজ থেকে ১৩ বছর আগে সালমান খানের চাপায় মারা গিয়েছিলেন নূর উল্লাহ খান। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সালমান খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একটি মামলা। আর এ মামলা থেকে ১৩ বছর পর উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পান বলিউড ভাইজান সালমান খান।
এদিকে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যার ওই ঘটনায় হাইকোর্ট থেকে সালমান খানের খালাস পাওয়ায় পর নিহত নূর উল্লাহ খানের ছেলে ফিরোজ শেখ প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘সালমান খান নির্দোষ হলে তার বাবার খুনি কে’?
এই রায়ের পরই নূর উল্লাহ খানের ছেলে ফিরোজ শেখের সঙ্গে জি নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
ফিরোজ শেখ সালমানের সিনেমার ভক্ত। এই মামলা থেকে সালমান খানের বেকসুর খালাস পাওয়া নিয়ে তিনি জানতে চান, ‘অভিনেতা সালমান খান যদি নির্দোষ হয়ে থাকেন তবে কে তার বাবাকে হত্যা করল।’
তিনি বলেন, ‘১৩ বছর পরেও আমার প্রশ্ন হলো, কে আমার বাবার হত্যাকারী। আমি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই?’
২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে সালমান খানের গাড়ি মুম্বাইয়ের ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা কয়েকজন লোকের ওপর উঠে গেলে নূর উল্লাহ খান নামের এক ব্যক্তি মারা যান এবং চারজন গুরুতর আহত হন। পরের মাসে সালমানের বিরুদ্ধে অসাবধানতাবশত, তবে দণ্ডযোগ্য হত্যাকাণ্ডের (এটি সজ্ঞানে খুন করার মতো অপরাধ নয়) মামলায় অভিযোগ গঠন হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি জামিনে মুক্তি পান।
২০০৩ সালে হাইকোর্ট এই অভিযোগ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেন। তবে তার বিরুদ্ধে বাকি থাকে শুধু বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ। ২০০৭ সালের অক্টোবরে মামলার প্রধান সাক্ষী মারা যান।
২০১৫ সালের মার্চে সালমান আদালতে বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি মাতাল ছিলেন না এবং গাড়িও চালাচ্ছিলেন না। তবে ওই বছরের মে মাসে নিম্ন আদালত তাঁকে মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সাজা দেন। এরপরই সালমান হাইকোর্টে আপিল করেন এবং সবশেষে গতকাল খালাস পান।
গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টের রায়ের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। একই সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ১৩ বছর আগে মুম্বাইয়ের ওই ঘটনায় নিহত নূর উল্লাহ খানের ছেলে ফিরোজ শেখও।
তারকা বলে সালমানের কান্নার প্রতি মুহূর্তে ছবি ক্যামেরায় ধরতে যখন ক্লিকের পর ক্লিক আর লোকের প্রচুর ভিড়, সেখানে কিন্তু ফিরোজের কান্নার ছবি ক্যামেরায় ধারণ করতে ছিল না একজনও।
ফিরোজ শেখের বয়স এখন ২৫ বছর। বাবা নূর উল্লাহ খানের মৃত্যুর পর থেকেই সংসারের দায় তার কাঁধে। বম্বে হাইকোর্টের গতকালকের রায়ে ফিরোজের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। ১৩ বছর ধরে তদন্ত ও অনুসন্ধানের পরও ফিরোজ জানতে পারলেন না তার বাবার হত্যাকারী কে?
১১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�