জাজ ও একজন আব্দুল আজিজ
সীমান্ত প্রধান : বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মোড় মূলত ঘুরে যাচ্ছে আব্দুল আজিজের হাত ধরেই। তিনি বাংলাদেশের খ্যাতনামা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার। এ প্রতিষ্ঠানটি তিনি গড়ে তুলেন ২০১২ সালে।
সুন্দর ছবি নির্মাণের এই স্বপ্নদ্রষ্টা প্রযোজনায় নাম লেখান ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবি দিয়ে। শুধু তাই নয়, তিনি সেসময় একই সঙ্গে ৫০টি সিনেমা হল ডিজিটালও করেন। ক্রমান্বয়ে দেড় শতাধিক সিনেমা হল ডিজটালাইজেশনের আওতায়ও নিয়ে এসেছেন।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিশ্বমানের হবে। এমন স্বপ্নই দেখেন আব্দুল আজিজ। তিনি চান সকল শ্রেণীর মানুষ ফিরে আসুক সিনেমা হলে। ছবি নির্মাণও হোক আন্তর্জাতিক মানের। আর এই চাওয়া থেকে তিনি কাজ করেও যাচ্ছেন।
আব্দুল আজিজ মূলত একজন ব্যবসায়ী। আর ছবি নির্মাণটাকেও তিনি তার ব্যবসার একটি অংশ হিসেবেই নিয়েছেন।
আজিজ জানিয়েছেন, স্রেফ ব্যবসা করার জন্যই আসা। এটা আমার একটা নতুন ব্যবসা। কিছুদিন পর পর আমি নতুন কিছু ব্যবসা ধরি। তারপর সেটা নিয়ে মুভ করি।
আগে কখনোই সিনেমা ব্যবসার প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না তার। তারপরও চলে এলেন সিনেমা প্রযোজনায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, সিনেমা বা প্রযোজক হওয়ার কোনো স্বপ্ন ছিলো না। ইচ্ছে ছিল পাইলট হওয়ার, ইচ্ছে ছিল আকাশে উড়ে বেড়াবার। দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর। যেহেতু আমার চশমা নেই। তাই পাইলট হওয়া হয় নি। পরে পৈতৃক ব্যবসাতেই ইনভলব হয়ে গেছি।
বর্তামানে সিনেমা ব্যবসায় অনেকেই আসতে চান না। তার বড় একটা কারণ হচ্ছে লগ্নি তুরে আনতে না পারার ব্যর্থতা। যার ফলে অনেকেই এখন সরে যাচ্ছে এ ব্যবসা থেকে। তবে সিনেমা ব্যবসায় লস, কেনো? এর থেকে বেরিয়ে আসারই বা রাস্তা কি?
এ প্রসঙ্গে আব্দুল আজিজ বলেন, এই লস থেকে উত্তরণের উপায় হচ্ছে মার্কেট স্টাডি করা। ভাল ছবি নির্মাণ করা। রেড অ্যালেক্সা ক্যামেরার যুগ থেকে আরও ভাল কিছুর দিকে যেতে হবে। কলকাতার মার্কেট, বোম্বের মার্কেট এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছবি নির্মাণ করতে হবে। কারণ মাকের্ট তো ওপেন হয়ে গেছে। টিভির পর্দায় চোখ রাখলেই সব দেখা যাচ্ছে। ফলে সেই মার্কেটের কথা বিবেচনায় রেখে আমাদের সিনেমারও উন্নয়ন করতে হবে। জয়েন ভেঞ্চার কিছু কাজের ভেতর দিয়ে আমাদের টেকনিশিয়ানদের ডেভলপ করতে হবে।
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�