ব্যর্থ আইরিন, আগ্রহ নেই নির্মাতাদের
বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্রে স্থায়ি হতেই র্যাম্প মডেল থেকে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছিলেন গ্ল্যামারাসগার্ল আইরিন।একজন নায়িকা হতে হলে যা যা দরকার, তা সবই রয়েছে এই মেয়ের মধ্যে।
অসম্ভব সৌন্দর্য, উচ্চতা, গ্ল্যামারের মাধ্যমে বেশ সম্ভাবনার জানান দিয়েই ঢাকাই সিনেমাতে তার অভিষেকটা হয়। বেশ কয়েকটি ছবিতে প্রথম চুক্তিবদ্ধ হলেও সেগুলো মুক্তি পেতে বিলম্ব হয়ে যায়। যার ফলে আইরিনের প্রথম ছবি হিসেবে মুক্তি পায় দেবাশিষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’।এখানে তার নায়ক আরেফিন শুভ। কিন্তু ছবিটি যেমন বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে, ঠিক তেমন করেই ছবির মাধ্যমে দর্শকদের কাছে আইরিন দৃঢ় করতে পারেননি নিজের অবস্থান। তারপরও আরও প্রায় হাফ ডজন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে থাকেন তিনি। তবে সেগুলোও বিভিন্ন জটিলতার কারণে পিছিয়ে যায়।
যার ফলে আইরিনের দ্বিতীয় ছবি হিসেবে মুক্তি পায় ‘ইউটার্ন’। প্রযোজক আদনানের সঙ্গে এ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। তবে এই ছবিটিও দর্শকরা গ্রহণ করেননি। গ্রহণ করেনি আইরিনকেও।
সব মিলিয়ে প্রথম দুই ছবি ফ্লপ করার পর আইরিনের কাছে তুরুপের তাস হয়ে ধরা দেয় সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ ছবিটি। কারণ বিভিন্ন সময়ে নিজের বাণিজ্যিক ছবির মধ্যে এটিকে অন্যতম বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ছবিটি নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদীও ছিলেন এ অভিনেত্রী।
তবে যতটা গর্জেছিল ততটা বর্ষেনি ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’। গল্প ও নির্মাণ দুর্বলতার ফলে ছবিটি টিকতে পারেনি প্রেক্ষাগৃহে। আর এর মাধ্যমে টানা তিনটি ছবির ব্যবসায়িক ব্যর্থতায় ফ্লপের তকমা জুড়ে যায় আইরিনের নামের পাশে। অনেক সম্ভাবনার জানান দিলেও শেষ পর্যন্ত হলো না আইরিনের।
এর ফলে তাকে নিয়ে নির্মাণাধীন ছবিগুলো ঘিরেও বিপাকে পড়ে যান নির্মাতারা। পাশাপাশি নতুন ছবিতেও তেমন একটা চুক্তিবদ্ধ হতে দেখা যাচ্ছে না আইরিনকে। এর মধ্যে শীর্ষ কোন পরিচালক ও নায়কের সঙ্গেও অভিনয়ের সুযোগ মিলেনি এ অভিনেত্রীর।
সব মিলিয়ে ফ্লপের তকমা নিয়েই আপাতত সময়টা পার করতে হচ্ছে তাকে। আর অপেক্ষা করতে হচ্ছে সামনের ছবিগুলো মুক্তির। কারণ সেগুলোর উপরই নির্ভর করবে আইরিনের চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ। এসব ছবির মাধ্যমে কারিশমা দেখাতে না পারলে হয়তো এখানেই থেমে যেতে হতে পারে এ অভিনেত্রীকে, এমনটাই মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�