মোনালির সাজঘর আগলে রাখলো এসপি
বিনোদন ডেস্ক : তার গান গাওয়া শেষ, স্টেজ ছাড়ছেন মোনালি ঠাকুর। শীত রাতের আঁধার ফুঁড়ে সাইকোডেলিক আলো আর দর্শকদের সোল্লাসে তখনও উত্তাল ডুয়ার্স উৎসব।
কিন্তু ব্যাকস্টেজের ছবিটা একেবারে চিরচারিত কুণ্ঠায় ভরা। ‘জারা জারা টাচ মি...’র গায়িকা গেলে বাঁচেন গোছের কাঁচুমাচু মুখ নিয়ে উইংসের পাশে দাঁড়ানো আয়োজকেরা খোলসা করছেন রহস্যটা— ‘‘হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম দাদা, ফের একটা শুভশ্রী-কাণ্ড ঘটলে ঘাড়ে মাথা থাকত!’’
গত শনিবার ফালাকাটা কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানে এসে হেনস্থার অভিযোগ তুলে মঞ্চে উঠে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী শুভশ্রী। বাতিল হয়ে গিয়েছিল মমতার দলের ছাত্র সংগঠনের দখলে থাকা ছাত্র সংসদ পরিচালিত অনুষ্ঠান। ঘটনার পরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। ফালাকাটার ‘ফস্কা গেরো’ রুখতে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে তাই বাড়তি সতর্ক ছিল শাসক দলের ‘বজ্র আঁটুনি’।
ডুয়ার্স উৎসবের আয়োজনের পুরোভাগে রয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী ও তার অনুগামীরা। একান্তে তারা বলছেন, ‘‘ফালাকাটার ঘটনায় দলের যা মুখ পুড়েছে, কড়া হওয়া ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না।’’
ক়ড়া হাতে মাঠে নেমেছিলেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও। মহিলা শিল্পীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাজঘরে নজরদারি চালান খোদ জেলা পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্র নাথ। তৃণমূল কংগ্রেসে দলের নেতা কর্মী থেকে ডুয়ার্স উৎসবের কর্তাব্যক্তিদের সাজঘরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল পুলিশের।
মাঠে প্রায় ৩০০ পুলিশ কর্মী ছাড়া ছিল প্রায় ৩০০ সিভিক ভলান্টিয়ার। মোনালির জন্য আলাদা করে ছিলেন ৪০ জন মহিলা পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার। মোনালি স্টেজে উঠে যাওয়ার পরে খোদ পুলিশ সুপার নিজেই বসে থাকলেন সাজঘর আগলে। বলছেন, ‘‘আয়োজকদেরও কাউকে ঢুকতে দিইনি।’’
কড়াকড়ির জেরে বাগডোগরায় শিল্পীকে আনতে যাওয়ারও ছাড় মেলেনি উদ্যোক্তাদের। পুলিশই গিয়ে তাকে নিয়ে আসে। মোনালিকে অবশ্য শুভশ্রীর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে কাঁধ ঝাঁকিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, বিষয়টাই জানা নেই তার।
আর অনুষ্ঠান শেষে সৌরভ বলছেন, ‘‘ফালাকাটার ঘটনার পর পুলিশ কর্মকর্তাদের আমিই বলেছিলাম কড়া হতে। এ ছাড়া উপায় ছিল না।’’
২৩ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস
�