বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৫৬:০৮

অস্কার পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন যারা

অস্কার পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন যারা

বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ স্বীকৃতিই হচ্ছে অস্কার পাওয়া। অথচ সেই অস্কার পেয়েও প্রত্যাখ্যান করেছেন অনেকে। বিষয়টা সত্যিই কি বিস্ময়কর, তাই না? তাহলে আসুন, দেখে নিই কারা, কখন, কিভাবে অস্কর পেয়েও প্রত্যাখান করেছেন। ডুডলি নিকলস : অস্কার পুরস্কার সর্বপ্রথম প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আমেরিকান এই চিত্রনাট্যকার ১৯৩৫ সালে আইরিশ যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘দি ইনফরমার’ সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তবে জনপ্রিয় এই চিত্রনাট্যকার সেই অস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি লিখে যেতে চাই, এটা আমার দায়িত্ব। সন্মানিত করার কিছু নেই।ডুডলি নিকলস প্রায় ৫০টিরও অধিক বিখ্যাত সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা করেছিলেন। ক্যাথেরিন হেপবার্ন : অস্কারের জন্য প্রায় বারো বার মনোনীত হয়েছিলেন আমেরিকান এই অভিনেত্রী। তবে তিনি সব সময়ই অনুষ্ঠান অপছন্দ করতেন। অধিকাংশ সময় কোনো অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যেত না। একটানা ৬০ বছর ধরে হলিউডে রাজত্ব করা এই অভিনেত্রী চারবার অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রথম পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং ৩৪ বছর পর যখন আবার অস্কার জিতেছিলেন তখন বলেছিলেন, ‘আমি কি করছি সেটাই ব্যাপার, সময় আমাকে বিবেচনা করবে, এত বছর পর তো আবারো জয় করতে পেরেছি’। জর্জ সি. স্কট : মঞ্চ থেকে অভিজ্ঞ হয়ে আসা আমেরিকান এই অভিনেতা ১৯৭০ সালে ‘প্যাট্টন’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার জিতেন।কিন্তু সেই খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোনেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘এই অল্প সময়ে এরা আমার অভিনয়ের কি বিচার করবে?’। তবে পরবর্তী বছরেও স্কট তার অভিনীত ‘দ্য হসপিটাল’ সিনেমার জন্য অস্কারে মনোনীত হয়েছিলেন। মারলন ব্র্যান্ডো : ১৯৭৩ সালে ‘দ্য গডফাদার’-এর জন্য সেরা অভিনেতার খেতাব পেয়েছিলেন তিনি। তবে সে পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে লেখা ছিল, ‘যেখানে পৃথিবীর হাজার হাজার মানুষ রোগে-শোকে ভুগে মরছে সেখানে আমি কীভাবে এতগুলো টাকা গ্রহণ করি?’ আমেরিকান এই পরিচালক এবং অভিনেতা সে দেশের অন্যতম প্রধান সমাজকর্মী ছিলেন। মারলন ব্র্যান্ডোর প্রথম সিনেমা ‘দ্য ম্যান’ মুক্তি পায় ১৯৫০ সালে। জাঁ-লুক গদার : ফ্রেন্স’র এ পরিচালককে ২০১০ সালে ফ্রান্সের চলচ্চিত্রে অবদান রাখার জন্য বিশেষ অস্কার পুরুস্কার দেয়। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণভাবে অস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। প্রায় ষাটের অধিক বছর ধরে একাধিক সিনেমার এই নির্মাতা পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে অস্কার বিষয়ে বলেন, ‘তারা কি ইচ্ছে মত সবকিছু করবে? তারা আমার সিনেমাকে কিংবা আমাকে বিবেচনার কে?’। এই নির্মাতার সব থেকে বেশি জনপ্রিয় সিনেমার নাম ‘লা নোভেলি ভোগা’ যা ইংরেজিতে ‘নিউ ওয়েভ’ নামে পরিচিত। সিনেমাটি ১৯৯০ সালে সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সে মুক্তি পায়। ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে