আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশি নি'গ্র'হের প্রতিবা'দে গ'র্জে উঠলেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ কমল হাসান।
তিনি বললেন, 'এই ছাত্রছাত্রীর গা'লে পড়া এক একটা চ'ড় আসলে গণতন্ত্রের গা'লে স'পা'টে এসে পড়া এক একটা চ'ড়। এ দেশের গণতন্ত্র এখন আইসিইউতে চলে গেছে।'
মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কমল হাসান। সেখানেই ছাত্রআন্দোলনের সপক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়ে দেন, তরুণ সমাজ প্রশ্ন করবেই। রাজনৈতিক সচেতনতায় কোনও ভু'ল নেই তাদের।
রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের। কিন্তু যখনই তাদের ক'ণ্ঠরো'ধ করা হচ্ছে, তার মানে সংবিধান বি'প'ন্ন, গণতন্ত্র বি'প'ন্ন। এ দেশের গণতন্ত্র এখন বি'প'জ্জ'নক অবস্থায় আইসিইউতে চলে গেছে।
তার কথায়, 'আম জনতার সঙ্গে ছাত্রসমাজকে গু'লিয়ে ফেললে চলবে না। এরাই জাতির ভবিষ্যত্। ছাত্রদের উপরে নেমে আসা প্রতিটা ধা'ক্কা আসলে সংবিধানে যে বাক স্বাধীনতার কথা বলা রয়েছে, তার উপরে ধা'ক্কা।'
সোমবারই দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসানের রাজনৈতিক দল মাক্কাল নিধি মাইয়াম সুপ্রিম কোর্টের দ্বা'র'স্থ হয়েছে নাগরিকত্ব আইনের প্র'তিবা'দ জানিয়ে। পাশাপাশি, এ আইনের প্র'তিবা'দ না করায় রাজ্যে ক্ষ'ম'তাসীন দল এআইএডিমএমকে-র ক'ঠো'র স'মালো'চনা করেছে তারা।
সেই প্রসঙ্গেই কমল হাসান বলেন, 'ওরা (এআইএডিমএমকে) রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত। দিল্লি, আলিগড়, আসামে যা চলছে, তা রাষ্ট্রীয় স'ন্ত্রা'স ছাড়া আর কিছু নয়।'
তিনি জানান, নাগরিকত্ব আইন এখন সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এটা কোনও রাজ্যে বা দলে আ'টকে নেই। এটা নিয়ে ছাত্রেরা যখন প্রশ্ন তুলছে, তখন তা নিয়ে ভাবা উচিত। টি'য়ার গ্যাসের শে'ল ছু'ড়ে জ'বা'ব দেওয়া উচিত নয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
কমল আরও বলেন, আ'ঘা'ত করে শিক্ষার্থীদের দ'মিয়ে দেওয়া যাবে না। আর ওদের দ'ম'নের চেষ্টা মানেই দেশের সংবিধান, স্বাধীনতার ওপর আ'ঘা'ত হানা।
কমল হাসান নিজেও প্রশ্ন তোলেন, গোটা দেশের অর্থনীতি যখন তলানিতে, সমস্ত দিক থেকে যখন স'ঙ্ক'ট গ্রা'স করছে, তখন নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিল এত তা'ড়াহু'ড়ো করে পাস করানোর কারণ কী! মাঝরাতে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে স্বাক্ষর করানোরই বা কারণ কী!