এবার বোমা ফাটালেন প্রিয়াঙ্কা
বিনোদন ডেস্ক : অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্য করে বেশ বিপাকেই পড়েছেন বলিউডের সুপারস্টার আমির খান ও শাহরুখ খান। যা নিয়ে এখনো থেমে থেমে ভারতে চলছে বিতর্ক। তবে এরই মধ্যে অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্য করে বোমা ফাটালেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘এই ভারত আমার অচেনা, এই ভারতে আমি বেড়ে উঠিনি’।
একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে শুনে আসছি হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, ইসলাম— সব ধর্মই সমান।’ জানিয়েছেন, সম্প্রতি ধর্ম, জাতির ভিত্তিতে যে বৈষম্য দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গে পরিবারে শেখানো মূল্যবোধের পার্থক্য রয়েছে।
প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘মনে হয়, এখন হিসাব করে কথা বলাই ভাল। না হলে কোন কথার কী মানে হয়, আর তার অভিঘাত কতদূর পর্যন্ত পৌঁছয় সেটা বোঝা মুশকিল!’ এটা বোঝাতে তিনি টেনে এনেছেন অসহিষ্ণুতা-বিতর্কে মুখ খোলায় সম্প্রতি বলিউডের দুই তারকা শাহরুখ খান এবং আমির খানকে যে পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল সেই প্রসঙ্গ।
শাহরুখ-আমিরের নাম না করেই বলেছেন, ‘জানি, আজ যা বলছি সেজন্য হয়তো আমাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হবে। হয়তো বলা হবে, একজন মহিলার এমন কথা বলা অনুচিত। কিন্তু না বলেও পারছি না। ওটা আমার রোগ।’
এ প্রসঙ্গে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, এদেশে অভিনেতারা খুব সহজেই রাজনীতির শিকার হন। তার কথায়, ‘অভিনেতারা সফ্ট টার্গেট। আমাদের কি স্বাধীনভাবে মন খুলে মতামত দেওয়ার অধিকার নেই?’
গত পরশু শাহরুখ অনুরোধ করেছিলেন, তার কথার ভুল ব্যাখ্যা হলেও দর্শকেরা যেন সেই ভুলের ফাঁদে পা দিয়ে ছবি দেখা বন্ধ না করেন। আজ প্রিয়ঙ্কার মুখেও সেই একই কথা শোনা গিয়েছে। বলেছেন, ‘কেউ কিছু বললে তা নিয়ে আলোচনা হোক। বিতর্ক হোক। কিন্তু ছবির প্রদর্শনী যেন বন্ধ করা না-হয়।’
প্রিয়াঙ্কার মতে, ‘ছবিকে রাজনীতির পণবন্দি করবেন না। যারা ছবির জন্য টাকা ঢালছেন, পরিশ্রম করছেন, সেটার মূল্য দিন।’
ছবির সঙ্গে বহু মানুষের জীবিকা যুক্ত রয়েছে। ছবির প্রদর্শনী বন্ধ হলে তারাও মার খান। ঠিক মুক্তির আগেই বিতর্ক তৈরি করে যেভাবে কিছু ছবির প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। তার মতে, এটাও একধরনের অসহিষ্ণুতা। ঘটনাচক্রে, তার সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘বাজীরাও মস্তানি’র প্রদর্শনী নিয়ে মুম্বইয়েই আপত্তি তুলেছিল শিবসেনা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর অসহিষ্ণুতা সম্পর্কে নিজের মতামত বিস্তৃতভাবে টুইট করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানেও লিখেছিলেন, ‘মতামতের জন্য চরিত্রহননের নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারছি না। যে ভারতে আমি বড় হয়েছি, সেই ভারত আমাকে তা শেখায়নি’।
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�