মন খারাপ হলে যেখানে চলে যান অমিতাভ
বিনোদন ডেস্ক : হাতে সবুজ ব্যান্ডের ঘড়ি, পায়ে বাঘছাল ছাপের পাম্প শ্যু। ছ’ফুটিয়া চেহারাটা ঘরে ঢুকেই সোজা হেঁটে পৌঁছে গেলেন স্টেজে। বসলেন নির্দিষ্ট আসনে। মুহূর্তে ম্যাজিক তৈরি হল গ্র্যান্ডের বলরুমে। তিনি অমিতাভ বচ্চন। কলকাতায় ঋভু দাশগুপ্তের ‘তিন’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকেই পরিচালক বিজয় নামবিয়ারের ‘ওয়াজির’ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি। ছবিতে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত এক গ্র্যান্ডমাস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করবেন বিগ বি। এ ছাড়াও রয়েছেন ফারহান আখতার এবং অদিতি রাও হায়দারি।
কিন্তু কোন খেলা যে কখন কোথায় ঘুরে যায়, তা বুঝে ওঠা সত্যি মুশকিল। এক জন হুইল-চেয়ার বন্দি দুঁদে দাবাড়ু, অন্য জন এটিএস অফিসার। দুর্ভাগ্য তাঁদের দু’জনকেই নিয়ে এসেছে এক দাবার টেবিলে। শেষ বাজি কে জিতবে তা অবশ্য এ দিন খোলসা করেননি শাহেনশা।
কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক, আর অমিতাভ নস্টালজিক হবেন না, তাও আবার হয়? ‘‘১৯৬২। আমার প্রথম চাকরি এই শহরে। পার্ক স্ট্রিট তো কিছুই পাল্টায়নি। এখনও মন খারাপ হলেই এখানে চলে আসি,’’ বলতে বলতে কিছুটা উদাস অমিতাভ।
৭৩-এ পৌঁছেও নতুন করে কোনও স্বপ্ন দেখেন ইন্ডাস্ট্রির বটগাছ-সম মানুষটি? মুচকি হেসে অমিতাভ জানালেন, ‘‘আমার একটাই স্বপ্ন, শেষ দিন পর্যন্ত যেন কাজ পাই। ৪৫ বছর ধরে যে বলিউড আমাকে সহ্য করছে এর জন্য ধন্যবাদ।’’
তবে সম্প্রতি যে অসহিষ্ণুতা ইস্যু নিয়ে বলিউড মহলে তোলপাড় চলছে সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ অভিনেতা। বরং খাওয়া-দাওয়া নিয়ে তার ভারী উতৎসাহ। কলকাতায় এসে মিষ্টি আর দধিতেই ডুবিয়ে রসগোল্লা খাওয়া নাকি তার সেরা পাসটাইম।
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�