সালমান খানের হৃদয়ছোঁয়া যত সংলাপ
বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে সালমান সাফল্যের শুরু ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির মাধ্যমে। এরপর কেটে গেছে অনেক বছর। ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে পিছনে। শুরুর মত এ বছরও দারুণ সফলতা পেয়েছেন ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’। সম্ভবত এটাই তার ৫০ তম জন্মদিনের সেরা উপহার।
না। আরো আছে। বলিউডের এই সুপার স্টারের জন্মদিন উপলক্ষে তার ভক্তরা ৪০০ফুট লম্বা কেক কাটছেন। যা গিনেজবুকে স্থান পেতে চলেছে! এ কি ভাইজানের জন্য কম আনন্দের? তবে ভাইজানের এই আনন্দের দিনে চলুন তার অভিনীত কিছু ছবির জনপ্রিয় কিছু সংলাপ জেনে নিই।
১৯৮৯ সালের ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিতে সালমানের সেই ‘দোস্তি কা উশুল হ্যায় ম্যাডাম: নো স্যরি নো থ্যাঙ্ক ইউ’— সংলাপটি একসময় সবার মুখে মুখে ফিরত। একই ছবিতে তার আরেকটি সংলাপ ছিল— ‘বাবুজি ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’।
এরপর ১৯৯১ সালে সালমান খান অভিনীত ছবি ‘সাজন’-এ— ‘আহাত সে কয়ি আয়ে তো লাগতা হ্যায় কি তুম হো, সায়া সা লেহরায়ে তো লাগতা হ্যায় কি তুম হো- সাজন’ এই সংলাপটি বেশ জনপ্রিয় ছিল তখন।
এছাড়া ১৯৯৪ সালে ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিতেই প্রথম ‘প্রেম’ হিসেবে আবির্ভূত হন সালমান। এ ছবিতে মাধুরীর চরিত্রটির নাম ছিল ‘নিশা’। এতে সালমান খানের জনপ্রিয় সংলাপ ছিল তিনটি। তার হলো, —‘নিশাজি, আগার শাদি মে, হাসি মাজাক মে, হামসে কয়ি ভুল হুয়ি হো, তো মুঝসে মাফ কর দিজিয়ে গা’, ‘আপ ভি কামাল করতি হ্যায় নিশাজি...’, এবং ‘যব হাম আপসে কুছ পুছনা চাহে তো হাম...আব হাম আপসে কুছ পুছে...হাম আপকে হ্যায় কৌন’।
একই বছর এই অভিনেতার ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। এতে অমর আর প্রেমের মধ্যে জ্যাকেট নিয়ে মজার এক কথোপকথন আছে। যেখানে আমির খানকে সালমান খান (প্রেম) প্রশ্ন করেন, জ্যাকেটটা কোথা থেকে কিনেছ? আমিরের উত্তর ছিল, ‘নিউ ইয়র্ক থেকে’। সালমান এরপর বলেছিলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমেরিকা থেকে’ (আচ্ছা মুঝে লাগা আমেরিকা সে হ্যায়)। আবার, এ ছবির আরেকটি ডায়ালগও খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
সেটিও জ্যাকেট নিয়েই। ডায়ালগটি হচ্ছে-‘তুমিই পর আর আমি পরি...সার্কাসের বুড়ো বাঁদরের মতো দেখায় (সার্কাসকা রিটায়ার্ড বান্দার লাগতা হ্যায়)।’ এ ছাড়াও, এ ছবির ‘গোগো জি, আপকা ঘাঘরা’, ‘আওয়ার ফেভারিট ইজ উইমা’ও তুমুল হাসি আর আনন্দ জুগিয়েছে এ ছবির দর্শকদের।
১৯৯৫ সালের ‘করণ অর্জুন’ ছবির মাধ্যমে একসঙ্গে সালমান খান ও শাহরুখ খান বড়পর্দায় আসেন। এ ছবির শাহরুখ খানকে সালমানের বলা ‘ভাগ অর্জুন ভাগ’ ডায়ালগটি কিংবা ১৯৯৮ সালের ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’ ছবিতে সালমানের কণ্ঠে ‘বড়ে ভাইয়া’ ডায়ালগটি অনেকেই নকল করত সেসময়। এ বছরই মুক্তি পেয়েছিল সালমান খান অভিনীত ‘বন্ধন’ ছবিটি। এ ছবিতে সালমান খানের দুলাভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জ্যাকি শ্রফ।
সালমানের ডায়ালগ— ‘জো জিজাজি কহেঙ্গে আই করুঙ্গা’ যেমন আলাভোলা শ্যালকের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছিল; তেমনি ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ঐশ্বরিয়া রাইকে বলা সালমানের ‘আগার তুম মুঝে ইউহি দেখতি রাহি তো পেয়ার হো যায়েগা’।
‘সালাম-ই-ইশ্ক’ ছবিতেও এই অভিনেতার একটি অসাধারণ ডায়ালগ ছিল। ২০০৭ সালের এই ছবিতে সালমান খান একটি দৃশ্যে বলেছিলেন, ‘হার চিজ করো লিমিট কে আন্দার, মাগার পেয়ার লিমিট কে বহুত বাহার।’
২০১৫ সালের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিটি দেশে ও বিদেশে সুপারহিট ব্যবসাসফল ছবি। এ ছবিতে সালমান খান একজন আলাভোলা বজরঙ্গি ভক্ত ভারতীয়। এ ছবিতে অনেক চমৎকার সব ডায়ালগ আছে সালমান খানের। এমনই একটি ডায়ালগ হচ্ছে— ‘হাম বজরঙ্গবলি কে ভক্ত হ্যায়... কয়ি ভি কাম চোরি ছিপ্পে নাহি কারতে।’ এ ছবির আরেকটি ডায়ালগ, ‘বজরঙ্গবলি, কেয়া কেয়া কারওয়া রাহে হো... মসজিদ মে সুলা দিয়া, আব বুরখা ভি পেহনা দিয়া।’
২০১৫ সালের সর্বশেষ যে ছবিটি এখন আলোচনায় সে ছবির নাম— ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’। এ ছবিতে ‘প্রেম’ হিসেবে সালমান ফিরেছেন বহু বছর পর। ছবির একটি দৃশ্যে সালমান খান যখন বলেন, ‘হার ফ্যামিলি মে প্রবলেম হ্যায়... পার উও খুশনসীব হ্যায়.. জিন কি ফ্যামিলি হোতি হ্যায় ...’
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�