বলিউডের কিছু অসমাপ্ত প্রেম কাহানি
বিনোদন ডেস্ক : ভালোবাসা, সম্পর্ক, আবেগ, বিরহ কি নেই বলিউডে? হিরো-হিরোইনরা একে অপরের সাথে যেমন প্রেমে জড়িয়েছেন, তেমন আবার বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে ভেসেছেন বিরহ সাগরে।
তবে বরাবরই প্রেম আর বিরহের মাধ্যমে বলিউডে বেশ আলোচিত ছিল কিছু প্রেমিক জুটি। যা বলা যায়, অসমাপ্ত প্রেম কাহানি। তবে এসব প্রেম এখনও বলিউডে বেশ চর্চিত। তথা এভারগ্রীন প্রেম হিসেবেই বিবেচিত। তাহলে আসুন সেই অসাম্পত কিছু প্রেম কাহানি জেনে নিই।
দেব আনন্দ-সুরাইয়া : সেই সময়কার গায়িকা এবং নায়কের সম্পর্কের কথা মুম্বাই চলচ্চিত্র জগতে কান পাতলেই শোনা যেত। শোনা যায়, পারিবারিক চাপেই নাকি এই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে পারেনি।
গুরু দত্ত-ওয়াহিদা রহমান : অভিনেতা, পরিচালক গুরু দত্তের সাজানো সংসারে হঠাৎই চলে আসেন সেই সময়ের নবাগতা নায়িকা ওয়াহিদা রহমান। স্ত্রী গীতা দত্ত মেনে নিতে পারেনি এই সম্পর্ক। দাম্পত্যে টানাপোড়েনের মাঝে দু’জনেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। খুব অল্প বয়সেই মারা যান গুরু দত্ত। সংসার এবং প্রেম- কোনওটাকেই পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারেননি আর তিনি।
রাজ কাপুর-নার্গিস : একজন জনপ্রিয় পরিচালক, প্রযোজক। অপর জন প্রথম সারির অভিনেত্রী। ইতিহাস সৃষ্টি করা গানে দু’জনকেই পাওয়া গেল এক ছাতার তলায়— ‘প্যায়ার হুয়া ইকরার হুয়া হ্যায়’, ছবির নাম ‘শ্রী ৪২০’। কিন্তু সম্পর্কে থাকলেও বিয়ে করতে রাজি হননি রাজ। কারণ কোনওভাবেই তিনি তার স্ত্রী ও পরিবার ছাড়তে চাননি নার্গিসের জন্য। পরবর্তীকালে অভিনেতা সুনীল দত্তকে বিয়ে করেন নার্গিস।
অমিতাভ বচ্চন-রেখা : আজও অন্যতম চর্চিত ভালবাসার গল্প। এখনও রূপকথার মতোই শুনতে লাগে অমিতাভ-রেখার গল্প।
এক সময়ে শোনা গিয়েছিল তারা নাকি গোপনে বিয়ে করেছেন। কিন্তু জয়া ভাদুড়ির সঙ্গে সম্পর্কের ‘সিলসিলা’য় শেষ পর্যন্ত
দাঁড়ি টানতে পারেননি বিগ বি। তাই এই গল্পটিও হয়ে গিয়েছে আরও এক ‘অসামাপ্ত কাহানি’।
সালমান খান-ঐশ্বর্যা রাই : ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর শ্যুটিং করার সময়েই একে অপরের কাছে আসেন। সালমান-ঐশ্বর্যার রসায়নও ছবির পরতে পরতে ফুটে উঠেছিল। শুরু থেকেই নায়িকার বাবা মায়ের পছন্দ ছিলেন না পাত্র সালমান। তার উপর সালমানের বদমেজাজ এবং নিত্য নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় বিষয় নিয়ে নাকি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ঐশ্বর্যা।
অবশেষে সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এ ক্ষেত্রে কিন্তু সম্পর্ক শেষ হয়েছে একতরফা ভাবেই। সালমান কোনও দিনই ছাড়তে চাননি ঐশ্বর্যাকে। সম্পর্ক ঠিক করে নেওয়ার জন্য কোনও কসুর রাখেননি। কিন্তু বচ্চন পরিবারের বধূ হওয়ার পরে নিজের ভালবাসা থেকে দূরে সরে আসেন সালমান।
শহিদ-কারিনা : মিষ্টি প্রেম। কিন্তু নিদারুণ পরিণতি। ফিল্ম দুনিয়ার আজও অনেকেই বুঝতে পারেন না এই সম্পর্কে ফাটল ধরল কীভাবে? যদিও স্পষ্ট করে কেউই কিছু বলেননি। শোনা যায়, কারিনাই নিজে থেকে তার আবেগ জানিয়েছিলেন শহিদকে।
কিন্তু চার বছর পর থেকেই দূরত্ব বাড়তে থাকে। দূরত্বের মধ্যে সাইফ আলির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কারিনা।
বিপাশা বসু - জন আব্রাহাম : টানা দশটা বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন এই কাপ্ল। শুধু প্রেম নয়, একছাদের তলায় রীতিমতো সংসারও করেছেন তারা। কিন্তু বিয়েটা শেষ অবধি হয়নি। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে জন বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হলেও বিপাশা আজও একাই আছেন।
অক্ষয় -রাবিনা : দুজনেই গভীর সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু যে সময়ে এরা কাছাকাছি এসেছিলেন, সেই সময়ে দুজনেই ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে। ফলে একাধিক ভুল বোঝাবুঝি জায়গা করে নিয়েছিল অক্ষয় এবং রাবিনার মধ্যে। শোনা যায়, রাবিনা নাকি অক্ষয়ের ক্ষেত্রে খুবই পজেসিভ ছিলেন। তাই দূরত্ব বাড়তে থাকে ক্রমশ। পরবর্তীকালে দুজনের কেউই কারোকে কোনও দোষারোপ করেননি। অবশ্য একসঙ্গে আর কাজও করেননি।
মিঠুন-শ্রীদেবী : একে অপরকে ভালবাসলেও বিয়ে করতে পারেননি এরা। কারণ, শ্রীদেবী জীবনে আসার আগেই অভিনেত্রী যোগিতা বালীকে বিয়ে করেন মিঠুন। যদিও সম্পর্কের মায়া কাটিয়ে বেশ কিছুদিন শ্রীদেবীর সঙ্গে সংসারও করেন মিঠুন। কিন্তু শেষ অবধি যোগিতা বালীকে ছাড়তে পারেননি তিনি। তাই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও স্ত্রীর কাছে ফিরে আসেন ডিস্কো কিং।
মাধুরী - সঞ্জয় : তামাম দেশের হৃদয় ‘ধক ধক’ করে তাঁর এক ঝলক দেখলে। কেরিয়ারের পিক ফর্মে তাঁর প্রেমিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন আট থেকে আশি। কিন্তু মাধুরী প্রেমে পড়েছিলেন ‘খলনায়ক’ সঞ্জয় দত্তের। কিন্তু মিঞা-বিবি চাইলেও রাজি ছিলেন না মাধুরীর বাবা। সঞ্জয় দত্তকে সুপাত্র হিসাবে কোনওদিন মেনে নিতে পারেননি তিনি। বাধ্য মাধুরীও বাবার উপর কথা বলেননি, নীরবে বেরিয়ে এসেছিলেন সম্পর্ক থেকে।
২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�