বিনোদন ডেস্ক : তরূণ-তরুণীদের কাছে তিনি অনিন্দ্য সুন্দরী। অভিনয়ের পাশাপাশি রূপে ও গুণে লাখো দর্শক মুগ্ধ করানো এই নায়িকা পার করেছেন জীবনের ৩৯টা বসন্ত। বয়স বাড়লেও রূপের ঝলকানি যেন একটুও কমেনি। তরুণ বয়সে যেভাবে রূপে মাতিয়েছিলেন এখনও যেন তার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। দিন যতই বাড়ছে ততই যেন তার রূপে আলো ছড়াচ্ছে। বলছি ঢাকাই সিনেমার নন্দিত চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার কথা। পুরো নাম দিলারা হানিফ রীতা হলেও সবার কাছে তিনি পূর্ণিমা নামেই পরিচিত ও জনপ্রিয়।
দেখতে দেখতে জীবনের ৩৯ বসন্ত পার করে এবার পা রাখলেন ৪০তম বছরে আর ক্যারিয়ারে ২৩তম। আজ এই নায়িকার জন্মদিন। জন্মদিনে অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী থেকে শুরু সহকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এই সুন্দরীতমা; যাকে বলা যায় ‘বিউটি অব বাংলা সিনেমা’।
১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্মগ্রহণ করা পূর্ণিমার শৈশব সেখানে কাটলেও কৈশোরে চলে আসেন ঢাকায়। নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে নাম লেখান রূপালী পর্দায়। ‘শত্রু ঘায়েল’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু তাঁর। ১৭ বছর বয়সে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমার মধ্য দিয়ে নায়িকা হিসেবে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে তাঁর; যেটি মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে। প্রথম সিনেমাতেই নায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন সেই সময়ের হার্টথ্রব রিয়াজকে। বাজিমাত করে বসেন প্রথম ছবি দিয়েই। ফটিকছড়ির রীতা একটু একটু করে হয়ে উঠেন আজকের পূর্ণিমা। পরিশ্রম, সাধনায় দিনে দিনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন ঢাকাই ছবির অন্যতম একজন অভিনেত্রী হিসেবে।
চলচ্চিত্রে আসার আগে ছোটবেলায় নাচগানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। চলচ্চিত্রের দাপুটে সময়টাতেও তিনি কাজ করেছেন টিভি পর্দাতেও। সেখানেও সফল এ অভিনেত্রী। নায়িকাদের মধ্যে তার সময়ে চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নাটক, টেলিফিল্মে দাপটের সাথে তাকে দেখা গেছে। এটিএন বাংলা-র এক সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘লাল নীল বেগুনী’-তে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। টিভি পর্দায় তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে – ল্যাবরেটরি, নীলিমার প্রান্তে, অমানিশা, ঐখানে যেও নাকো তুমি, এখনো ভালোবাসি, দুর্ঘট, যদি ভালো না লাগে তো দিও না মন, প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাতদিন, প্রতিহরণ, ম্যানিকুইন, রংবেরং, জলে ভাসা পদ্ম, ঘরের খবর পরের খবর, শঙ্খচিল, লাভ অ্যান্ড কোং, হলুদ রঙের বায়না, ১০১ লাভ ইমার্জেন্সি।